কবরস্থানের দোহাই দিয়ে ৬৭ একর থেকে রামমন্দিরের ৫ একর নিতে চায় স্থানীয় সংখ্যালঘুরা,চিঠি ট্রাস্টকে

রামমন্দিরের নির্মাণের জন্য যে ৬৭ একর জমি ট্রাস্টের হাতে দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে ৫ একর জায়গায় রয়েছে কবরস্থান | কবরস্থানের উপর মন্দির নির্মাণ হিন্দু সনাতন ধর্মের পরিপন্থী,এই মর্মে স্থানীয় কিছু মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ ট্রাস্টকে চিঠি দেন ১৫ই ফেব্রুযারি | তারা বলেন, ১৮৮৫ সালে দাঙ্গার সময় যে ৭৫জন মুসলমান মানুষ মারা গিয়েছিলেন তাদের ওই পাঁচ একর জমির মধ্যেই কবর দেওয়া হয়েছিল |

তার উপর মন্দির বানানো সনাতম ধর্ম কি আদৌ অনুমতি দেয় ? এই প্রশ্ন করে তারা চিঠি দেন ট্রাস্টের দেখভাল করা শীর্ষ আদালতের আইনীজীবী কে পরাশরন | স্থানীয় মুসলিমদের মতে, ১৯৯৩সালে বাবরি মসজিদের ধ্বংসের পর ওই ৬৭একরের মধ্যে কবরস্থানের অস্তিত্ব মানতে অস্বীকার করা হয় | যদিও ১৯৯৪ সালে ইসমাইল ফারুকির পর্যবেক্ষণে মামলায় বলা হয় যে রামমন্দির ও মসজিদ জমি বিতর্ক আটকে রয়েছে তিন দিকের কবর স্থানের মধ্যে |

পরবর্তীকালে শীর্ষ আদলতেও যখন দীর্ঘদিন ধরে বিতর্কিত জমি মামলার শুনানি হয় ,শীর্ষ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা চেষ্টা করা হয় কবরস্থানের বিষয়টিত | কিন্তু রায়ের পর দেখা যায় সে বিষয়ে কোন উচ্চবাচ্যই করেনি শীর্ষ আদালত | অগত্যা এবার চিঠি দিয়ে সরাসরি ট্রাস্টের শরণাপন্ন হল স্থানীয় মুসলমান সম্প্রদায়ের লোকেরা |

পর্যবেক্ষকদের মতে, হিন্দু ধর্মের জিগির তুলে ওই ৬৭ একর জায়গার মধ্যেই নিজেদের জন্য ৫একর বের করে নিতে চাইছেন সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা | কারণ তাদের মসজিদ তৈরির জন্য যে পাঁচ একর দেওয়া হয়েছিল,তাতে তারা মোটেই খুশি নন | এমনকি শীর্ষ আদালতের রায়কে তারা চ্যালেঞ্জ করবেন বলে ভেবেও পরে পিছিয়ে আসেন | তাই বিকল্প পদ্ধতিতে সেটি হাসিল করার চেষ্টায় মরিয়া তারা,মত পর্যবেক্ষকদের |

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.