প্রধানমন্ত্রী মোদী চলতি বছরের দ্বিতীয় ‘মন কি বাত’ এ বললেন ভাগীরথী আম্মার কথা,যিনি ১০৫ বছর বয়সে পাশ করেছেন চতুর্থ শ্রেণী

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রবিবার তার ৬২ তম ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের জনগণকে সম্বোধিত করেন। এটি ছিল প্রধানমন্ত্রী মোদীর চলতি বছরের দ্বিতীয় মন কি বাত রেডিও প্রোগ্রাম। মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী কেরালার এক ১০৫ বছর বয়সী মহিলার কথা উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন যে, ”আমরা যদি জীবনে উন্নতি করতে চাই, বিকাশ করতে চাই, অর্থপূর্ণ কিছু করতে চাই তবে প্রথম শর্ত হচ্ছে আমাদের ভিতরে থাকা শিক্ষার্থী যেন কখনও মারা না যায়। ১০৫ বছর বয়সী ভাগীরথী আম্মা আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করেছেন ।”

১০ বছর বয়সে বাধ্য হয়ে তাঁকে স্কুল ত্যাগ করতে হয়েছিল। ১০৫ বছর বয়সে তিনি আবার স্কুল শুরু করেন, পড়াশোনা শুরু করেন। এত বয়স্ক হওয়া সত্ত্বেও তিনি চতুর্থ শ্রেণির পরীক্ষা দিয়েছিলেন এবং ৭৫ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রজাতন্ত্র দিবসে ‘মন কি বাত’ এ দেশবাসীকে সম্বোধিত করেছিলেন। সেটি ছিল তাঁর বছরের প্রথম রেডিও প্রোগ্রাম। কেরালা সাক্ষরতা মিশনের প্রবীণতম শিক্ষার্থী ভাগীরথী আম্মা। পড়াশোনার যে কোনও বয়স নেই, এটি কেরলের ১০৫ বছর বয়সী আম্মা প্রমাণ করেছেন। নভেম্বর ২০১৯ এ, কোল্লামের পরাকুলামের ১০৫ বছর বয়সী ভাগীরথী আম্মা চতুর্থ শ্রেণির পরীক্ষা দিয়েছিলেন। যখন সে তার ফলাফল পেয়েছে তখন সে ৭৪.৫ শতাংশ নম্বর লাভ করেন। ভাগীরথী আম্মা কেরালা রাজ্য সাক্ষরতা মিশনের প্রবীণ ছাত্রী ।

প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আট বছর বয়সে পড়াশুনা ত্যাগ করতে হয় তাঁকে। ভাগীরথী আম্মা কেরালা রাজ্য সাক্ষরতা মিশনে অংশ নিয়েছিলেন এবং প্রবীণ ছাত্রী হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। মায়ের অকাল মৃত্যুর পরে ভাগীরথী আম্মা আট বছর বয়সে পড়াশুনা ত্যাগ করে পরিবারের যত্ন নিতে শুরু করেন। আট বছর বয়সে তাঁর ভাইবোনদের দায়িত্ব কাঁধে পড়ে। স্বামীর মৃত্যুর পরে তিনি তার ছয় সন্তানের লালন-পালনের জন্য একাই দায়বদ্ধ ছিলেন, যা তিনি ভালভাবে পালন করেন। ভাগীরথী আম্মা প্রমাণ করেন যে মানুষ যে কোনও বয়সেই পড়াশোনা করতে পারে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.