সামাজিক নিরাপত্তার দিক কতটা সুরক্ষিত কলকাতাবাসী?

সামাজিক নিরাপত্তার দিক কতটা সুরক্ষিত কলকাতাবাসী? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে চায়ের আড্ডায় ও বিভিন্ন আলাপ আলোচনায়।
নির্বাচনের সময় নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে আলোচনা চলে, নির্বাচন পরবর্তীকালে হিংসার গতি প্রকৃতি বিবেচনা করে হিন্দুদের উপর আক্রমণের বিষয়টি আবার উঠে আসে। শুধু তাই নয় আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও নির্বাচন পরবর্তী ঘটনা পৌঁছে যায় মূলত সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে।
চিরাচরিত মিডিয়ার ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক মুনাফা জনিত সীমাবদ্ধতা থাকার জন্য হিন্দু নিধন যজ্ঞের খবর প্রকাশে অথবা সরকারের বিরাগভাজন হওয়ার ভয় থাকলেও, সামাজিক মাধ্যমের ক্ষেত্রে নেই সেই প্রতিবন্ধকতা।
কিন্তু ইয়াবার যে বিষয়টি সর্বত্র আলোচিত তা হচ্ছে কতটা নিরাপদ আপনি ও আপনার পরিবার জেহাদিদের কাছ থেকে। জেহাদের সংজ্ঞা কিন্তু দিনে দিনে বদলাচ্ছে । চিরাচরিত আগ্নেয়াস্ত্র ও ছুরি হাতে জেহাদি আপনাকে তারা করবে তার কি মানে আছে?
কি করবেন জেহাদি যদি হয় আপনার বাড়ির রাজমিস্ত্রি, প্লাম্বার অথবা সবজিওয়ালা? ব্যাপারটা বেশ ভাববার ও চিন্তার তাই না ?
হরিদেবপুর গ্রেফতার হওয়া জেহাদিদের জেরা করে উঠে আশা তথ্যে হতচকিত গোয়েন্দা অফিসাররা।
“এরা তো টিভির পর্দায় দেখা মুখোশধারী, ছুরি হাতে ধর্মীয় স্লোগান দিতে দিতে আক্রমণ করা সন্ত্রাসবাদী যাদের চিরাচরিত আলট্রা রেডিকেল ইসলামিক মিলিটান্ট বুঝতাম ঠিক তাদের মতো দেখতে না। মুখোশ পরে অত্যাধুনিক পোশাক পরে স্টাইলিশ হয়ে ঘুরে বেড়াতে হবে তার কোনো মানে নেই জেহাদে, উদ্যেশ্য সিদ্ধি ওদের কাজ। জেরায় গ্রেফতার জঙ্গিদের বলতে শোনা গেলো এদের অনেকে মাসের পর মাস লোকের বাড়িতে রাজমিস্ত্রি, রং মিস্ত্রি, দোকানের কসাই হিসেবে কাজ করতো । রাজমিস্ত্রি, রংমিস্ত্রি, সবজিওয়ালা, চা ওয়ালা, ফেরিওলাদের মধ্যে থেকেই নিয়োগ করা হচ্ছে জঙ্গি ইনফর্মার,” এক গোয়েন্দা আধিকারিক বলেন ।
তিনি স্বীকার করলেন যে পশ্চিমবঙ্গে হুজি ও জামাতের স্লিপার সেল সবজিওয়ালা থেকে শুরু করে ফেরিওয়ালা এবং শ্রমিক শ্রেণীর লোকজনকে এদের দলে ঢোকাচ্ছে এবং এটাই কাউন্টার টেরর এক্সপার্টদের কাছে মাথা ব্যাথার কারণ ।

সংহতি সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.