ভারতে আইনি জটিলতায় টিকটক। ইতিমধ্যেই গোটা দেশে টিকটক নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ইতিমধ্যেই প্লে স্টোর ও অ্যাপ স্টোর থেকে এই অ্যাপ ডাউনলোড বন্ধ হয়েছে। ঘোটা দেশে টিকটক বন্ধ হলেও এখনও কয়েক কোটি গ্রাহক নিয়মিত টিকটক ব্যবহার বকরছেন।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন নিষিদ্ধ হওয়ার আগে গোটা দেশে প্রায় ১২ কোটি গ্রাহক টিকটক ব্যবহার করতেন। এই গ্রাহকরা অ্যাপ নিষিদ্ধ হওয়ার পরেও টিকটক ব্যবহার করে চলেছেন। প্লে স্টোর ও অ্যাপ স্টোর থেকে টিকটক সরিয়ে নেওয়ার ফলে নতুন কোন গ্রাহক এই অ্যাপ ব্যবহার করতে না পারলেও পুরনো গ্রাহকরা এখনও বহাল তবিয়াতে এই অ্যাপ ব্যবহার করে যাচ্ছেন।
ইতিমধ্যেই অ্যাপেক্স কোর্টে এই মামলা পৌঁছেছে। টিকটক এর আধিকারিকরা জানিয়েছেন দেশে এই অ্যাপের বিশাল জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখে ভালো ফলাফলের ভাশা করছেন।
“আমরা দেশের আভ্যন্তরীন আইনের ব্যপারে ওয়াকিবহাল। তবে এই অ্যাপ এর বিশাল জনপ্রিয়তা নিঃসন্দেহে ভারতবাসীর জীবধারন বদলে দিয়েছে। প্রতি মাসে ভারতে ১২ কোটি গ্রাহক নিয়মিত টিকটক ব্যবহার করেন। এই অ্যাপ ব্যবহার করে মানুষ তার সৃজনশীলতার পরিচয় দেয়।” জানিয়েছেন এই টিকটক আধিকারিক।
মাদ্রাজ হাই কোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করেছে সুপ্রিম কোর্ট। গত সপ্তাহে অশ্লীল ভিডিওর জন্য গোটা দেশে টিকটক বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল মাদ্রাজ হাই কোর্ট।
১-১৮ এপ্রিলের তথ্য অনুযায়ী প্লে স্টোর ও অ্যাপ স্টোরে ডাউনলোডের দিক থেকে এক নম্বরে রয়েছে টিকটক। ১৮ এপ্রিল প্লে স্টোর ও অ্যাপ স্টোর থেকে টিকটক অ্যাপ সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
এক সাইবার সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন কাগজে কলমে আদালতের রায় মানা হলেও এখনও পুরনো গ্রাহকরা এই অ্যাপ ব্যবহার করে চলেছেন। ২০১৯ সালের প্রথম তিন মাসে ১৮.৮ কোটি গ্রাহক টিকটক ব্যবহার শুরু করেছেন।