ষাট বা সত্তরের দশকে কেজিবি কিভাবে বাংলা সিনেমা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সংবাদমাধ্যমকে এবং পশ্চিমবঙ্গের ধনীতম হিন্দুধর্মীয় মিশনকে সঙ্গে নিয়ে বাঙালীর মাথা খেয়ে 34 বছরের কালো যুগের ভিত্তিপ্রস্তার স্থাপন করেছিল জানি না l তবে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নিধনকে কত সুন্দরভাবে মানুষের দৃষ্টি থেকে ঘোরাতে পারে আজকের সংবাদ মাধ্যম, তাতে সেই যুগে কি হত বোঝাই যায় l অধিকাংশ চ্যানেলে হয় কোভিড নয় পেট্রোলের দাম l এবিপি দেখাচ্ছে করিনা কাপুর কাজ করছেন সুজয় ঘোষের পরের ছবিতে l তবে, শ্রাবন্তী ম্যাডামের পরের প্রজেক্ট সম্পর্কে বলে নি l
কৌতূহলবসত টাটা স্কাইতে কলকাতা টিভি সাবস্ক্রাইব করলাম l যথারীতি সবাইকের ছাড়িয়ে গেছে তাঁরা l কোন রাজনৈতিক দলের গুন্ডার দ্বারা কোন মহিলার সন্মানহানি হলে যেমন ওই গুন্ডার দলের নেতারা মহিলার চালচলন বা পোশাকের উপর দায় চাপিয়ে অপরাধীকে ত্রাণের চেষ্টা করেন, কলকাতা টিভিও তেমনি কাশ্মীরে হিন্দুদের হত্যায় ক্লিনচিট দিচ্ছেন উগ্রপন্থীদের এবং দোষ দিচ্ছেন কাশ্মীরি হিন্দুদের কাশ্মীরে ফেরার জন্য l
বাংলাদেশে এখনো কিসের আশায় সেই দেশের বাকী হিন্দুরা বসে আছে জানিনা l তবে, তাঁদের বুঝতে হবে ভারতের হিন্দু বাঙালীদের তামিলদের মত মেরুদন্ড নেই l কলকাতা তাঁদের পাশে দাড়াবে না l CAA আইনে এখনো যদি ভারতে ফিরতে না পারে, তারা কিন্তু শেষ ট্রেন মিস করবে l যারা 75 বছর আগে এসেছে, তাঁরা বোকা হতে পারে, কিন্তু দুই অক্ষরের l
সুদীপ্ত গুহ