এবার পালটা ভারতকেই সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি না করতে আবেদন করল বেজিং। চিনের দাবি সীমান্তে যেন স্থিতাবস্থা বজায় থাকে। শান্তি বজায় রাখা দুই দেশেরই দায়িত্ব বলে জানিয়েছে বেজিং। সীমান্তে স্থিতাবস্থা বজায় রাখলে তবেই দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতি হবে বলে জানানো হয়েছে চিনের পক্ষ থেকে।
বুধবার চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র একটি ট্যুইট করেন। সেখানে তিনি বলেন সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে কথা চলছে দুই দেশের। আশা করা যায় এরপরে নতুন করে সীমান্তে অস্থিরতা বাড়াবে না ভারত। তিনি বলেন এক ভারতীয় সূত্র তাঁকে এই বিষয়ে জি়জ্ঞাসা করছেন, ভারত চিন সংঘাত কতদিন চলবে। মুখপাত্র জি রাং এদিন বলনে ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে তিনি আশা করেন।
রাংয়ের কথায় ভারত চিন দুই দেশই চায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে। আপাতত সীমান্তে স্থিতাবস্থা বজায় রয়েছে। সেই পরিস্থিতিই আগামী দিনে বজায় থাকবে বলে আশা করা যায়।
তিনি বলেন প্রয়োজনে ভারত ও চিন একাধিক বৈঠকে বসতে পারে। সবধরণের রাস্তা আলোচনার জন্য খোলা রয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে আলোচনার প্রস্তাব সব সময়ই মেনে নিয়েছে চিন। তাই ভারতের উচিত সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার সব রকম চেষ্টা করা, আরও উদ্যোগী হওয়া।
এখানেই প্রশ্ন উঠছে। তাহলে পূর্ব লাদাখে ভারতের রণসজ্জা দেখে ভয় পেল চিন। কারণ এখনও পর্যন্ত কোনও বৈঠকের মাধ্যমেই সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসেনি। সেক্ষেত্রে চিনও নিজেদের সেনা পূর্ব অবস্থানে ফেরত পাঠায়নি। অথচ দাবি করেছিল সরতে হবে ভারতীয় সেনাকে। সেই প্রস্তাব স্বাভাবিকভাবেই মেনে নেয়নি নয়াদিল্লি।
এদিকে, বুধবারও পূর্ব লাদাখে চিনা সেনার ওপর নজর রাখতে দেশে তৈরি লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার মোতায়েন করল ভারত। এই ধরমের দুটি কপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার বা এলসিএইচ ভারতীয় বায়ুসেনার হাই অল্টিটিউড মিশনগুলিতে কাজ করবে। বুধবার এক ট্যুইট বার্তায় হ্যাল এই তথ্য দিয়েছে। জানা গিয়েছে লাদাখে সবচেয়ে বিপদসংকুল হেলিপ্যাডে অবতরণ করতে সক্ষম এই কপ্টার দুটি। হালকা ওজনের হওয়ায় খুব দ্রুত চলাচলের ক্ষমতা রয়েছে এলসিএইচের। লাদাখের পার্বত্য ও জটিল অবস্থানগুলিতে দ্রুত কাজ করতে সক্ষম এলসিএইচ। পাশাপাশি এলসিএইচের যে কোনও তাপমাত্রায় কাজ করার ক্ষমতা রয়েছে।