সততা ছিল তাঁর চেতনায়, কর্মে। তাঁর জীবনই ছিল তাঁর বাণী।

সরকারী চাকরির ফর্ম ফিলাপে অনিল শাস্ত্রী Father’s occupation কলামে লিখেছিলেন ‘গভর্নমেন্ট এমপ্লয়ী’। সেই চাকরির ইন্টারভিউতে অনিল শাস্ত্রীকে এক প্রশ্নকর্তা বললেন, “আপনার বাবার নাম লাল বাহাদুর শাস্ত্রী। আবার আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীর নামও লাল বাহাদুর শাস্ত্রী। ওনার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আপনি কিছু বলুন।”
অনিল শাস্ত্রী খানিকটা বললেন এবং শেষে জানালেন, “স্যার আমি যেটুকু বললাম পুরোটাই খবরের কাগজ পড়ে জানা। উনি বাড়িতে কখনো রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করেন না।”
প্রশ্নকর্তা ভ্রূকুঞ্চিত করে জিজ্ঞেস করলেন, “মানে?”

  • “স্যার আমার বাবা লাল বাহাদুর শাস্ত্রী আর আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী অভিন্ন ব্যক্তি।”
    প্রশ্নকর্তা ঘেমে নেয়ে একাকার।

পিতা প্রতিমন্ত্রী। এলাহাবাদে দু কামরার বাড়ি। ছেলে স্কুলে যায় টাঙা রিক্সায়। পিতা তখন রেলমন্ত্রী। দিল্লীর সরকারী বাসভবনের বাসিন্দা। পুত্র কলেজে যায় সাইকেলে। স্ত্রী ললিতা দেবী সংসার সামলান নিজের হাতে। সরকারী ঠাকুর চাকর আর্দালি নেই তেমন। ঘর ঝাঁট দেওয়া, রান্না করা সবই নিজের হাতে। তাই বলে এলেবেলে ঘোমটা টানা দেহাতি মহিলা নন। রীতিমত উচ্চশিক্ষিত, ক্ষুরধার রাজনৈতিক বুদ্ধিসম্পন্ন, যোগ্য সহধর্মিণী। অবসরে সঙ্গীতচর্চা করতেন। লতা মঙ্গেশকরের কন্ঠে তাঁর লেখা বেশ কিছু গান হিন্দি চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত হয়েছে।

কোনো এক রেল দুর্ঘটনায় বহু মানুষের প্রাণহানি হল। সাংবাদিক সম্মেলন করে জানালেন, “ঘটনার সাথে আমার সম্পর্ক না থাকলেও রেল দপ্তরের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হিসেবে আমি ঘটনার দায় এড়াতে পারিনা।” – ব্যাস্, দুম্ করে রেলমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বসলেন।

প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তাঁর পরিবারের পরিচিতি বেড়ে গেল। স্ত্রী ছেলেপুলেরা যেখানে যায় লোকজন মিডিয়া ঘিরে ধরে। শাস্ত্রীজী নিজের সরকারী গাড়িতে স্ত্রী ছেলে মেয়েদের চড়তে দেন না। কাজের সময় ছাড়া নিজেও চড়েন না। অথচ তাঁর দেহরক্ষীরা দামী গাড়ি চড়ে বাড়ি থেকে ডিউটি করতে আসে। শাস্ত্রীজীর ছোটছেলে একসময় রীতিমত জোরাজুরি করতে থাকে “এবার একটা গাড়ি কেনো বাবা। অন্তত আমাদের সিকিউরিটির কথা ভেবে তো কেনো।”

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যাওয়ার পথে নিজের দেহরক্ষীকে জিজ্ঞেস করেন, “আচ্ছা সিংজী আপনি যে গাড়িটা চড়ে ডিউটিতে আসেন সেটার নাম কি?”

  • “স্যার প্রিমিয়ার পদ্মিনী।”
  • “অনেক দাম?”
  • “হ্যাঁ স্যার। দাম আছে ভালই। তবে এটা আমার নয়। আমার বাবা লোন নিয়ে কিনেছিলেন। এখন আমি মাঝে মাঝে চালাই।”

ব্যক্তিগত সচিব ভি.এস. ভেঙ্কটরমনের কাছ থেকে তিনি জানতে পারেন নতুন ফিয়াট পদ্মিনী গাড়ির দাম ১২ হাজার টাকা। কিন্তু ব্যাঙ্কে ছিল সাত হাজার টাকা। ব্যাক্তিগত সচিবকেও তিনি স্যার সম্বোধন করতেন। ভেঙ্কটরামনকে বললেন, “স্যার হাজার পাঁচেক টাকা লোনের বন্দোবস্ত করে দিতে পারেন?”

লাল বাহাদুর শাস্ত্রী পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন করেন। আবেদনের পরদিনই ঋণের পাঁচ হাজার টাকা পেয়ে যান তিনি। কিন্তু ঋণ নেওয়ার কিছুদিন পরেই মারা যান শাস্ত্রীজী। মৃত্যুর পর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ঋণ পরিশোধের জন্য নোটিশ পাঠান লালবাহাদুরের স্ত্রী ললিতা দেবীর কাছে। ললিতা দেবী তাঁর পরিবারের পেনশন থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে কিস্তিতে শোধ করেন সেই ঋণ। ১৯৬৪ সালের মডেলের ফিয়াট গাড়িটি এখনও রাখা রয়েছে রাজধানীর এক নম্বর মোতিলাল নেহরু মার্গের লাল বাহাদুর শাস্ত্রী মেমোরিয়ালে।

সেসময়ে অনলাইনের ব্যাপারস্যাপার তো ছিল না। সাধারণ মানুষ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে সরাসরি চিঠি লিখতেন। সারাদিন কাজ শেষে বাড়ি ফিরতেন সেইসব চিঠিপত্র বগলদাবা করে। প্রতিটা চিঠি খুঁটিয়ে পড়তেন। ব্যবস্থা নিতেন সাধ্যমত। কিছু চিঠির উত্তর পাঠাতেন নিজের হাতে লিখে। সহকর্মীরা পারিবারিক কোনো অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ করলে সশরীরে উপস্থিত হয়ে নিমন্ত্রণ রক্ষা করতেন। এমনও হয়েছে কলকাতায় মিটিং সেরে রাত আটটায় দিল্লী এয়ারপোর্টে নেমে গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছেছেন অফিসের এক কর্মচারীর বিয়ের অনুষ্ঠানে।

লালবাহাদুর শাস্ত্রী ভারতের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী। সেই সময়ের কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর মৃত্যুর পর তিনি প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেন। আপাত শান্ত মানুষটির মধ্যে যে এক তেজস্বী ও দীপ্ত মানসিকতা রয়েছে স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় থেকেই দেশের নেতারা তা বুঝতে পেরেছিলেন। কংগ্রেস সরকার গঠিত হওয়ার পর দেশের শাসন ব্যবস্থায় গঠনমূলক ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার জন্য ডাক দেওয়া হয় তাঁকে। তাঁর নিজের রাজ্য উত্তরপ্রদেশে তাঁকে সংসদীয় সচিব নিযুক্ত করা হয়। এরপর তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র দপ্তরের দায়িত্ব দেওয়া হয়। একে একে সামলাতে শুরু করেন রেল, পরিবহণ ও যোগাযোগ, শিল্প ও বাণিজ্য, স্বরাষ্ট্র সহ বিভিন্ন দপ্তর। ১৯৬৪ সালের ৯ই জুন তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নেন। দেশে তখন প্রবল খাদ্য সংকট। তাঁর উপর পাকিস্তান হামলা করেছে দেশের উপর। শাস্ত্রীজী রামলীলা ময়দান থেকে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে স্লোগান তুললেন, “জয় জওয়ান, জয় কিষাণ”….
সারা দেশ গর্জে উঠল। শাস্ত্রীজীর যোগ্য নেতৃত্বে দুর্দমনীয় ভারতীয় সেনাবাহিনী ১৯৬৫’র পাকিস্তানি আক্রমণকে দুমড়ে মুচড়ে ধূলিসাৎ করে দেয়, জয়ী হয় ভারত।

১৯৬৬ এর জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে যুদ্ধ পরবর্তী শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য সোভিয়েত ইউনিয়নের তাসখন্দে গেলেন শাস্ত্রীজী। চুক্তি স্বাক্ষর হলেও তাঁর আর সজ্ঞানে দেশে ফেরা হয়নি। জানুয়ারির দশ তারিখ। বেলা চারটের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়ে যায়। শাস্ত্রীজী তাঁর নির্দিষ্ট বাসভবনে ফিরে আসেন। সন্ধ্যে নাগাদ হাল্কা আহার সেরে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। সোভিয়েত সরকারের এই বাসভবনের নিজস্ব পরিচারক ও রাঁধুনীরা ছিল, তবুও সেদিনের রান্নার দায়িত্বে ছিলেন তৎকালীন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত টি.এন. কলের ব্যক্তিগত খানসামা জান মহম্মদ। সেই রাতে শাস্ত্রীজীর নিজস্ব পরিচারক রামনাথকে শাস্ত্রীজীর কাছে ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি, রান্নার দায়িত্বও দেওয়া হয়নি। রাত এগারোটা পঁচিশ নাগাদ খান মহম্মদ এক গ্লাস দুধ নিয়ে আসেন শাস্ত্রীজীর জন্য। শাস্ত্রীজী তখন তাঁর মেয়ে শ্রীমতী সুমন সিং এর সাথে ফোনে কথা বলছিলেন। সুমনের স্বামী বিজয় নাথ সিং কাইরো যাচ্ছেন, শাস্ত্রীজী জামাইকে খবরের কাগজ সাথে নিয়ে যেতে বললেন। মেয়ে বললেন, “তুমি এবার একটু ঘুমোও বাবা।”
শাস্ত্রীজী বললেন, “এই তো দুধ নিয়ে এসেছে, দুধ খেয়ে ঘুমোবো।” তারপরই ফোন কেটে যায়।

রাত একটা পঁচিশ নাগাদ প্রবল কাশি আর বুকের ব্যথায় শাস্ত্রীজীর ঘুম ভেঙে যায়। মাথার পাশে অ্যালার্ম টিপলেন, বাজল না। ফোন তুললেন, ফোন স্তব্ধ। প্রবল অস্বস্তিতে কোনোমতে উঠে হাতড়াতে হাতড়াতে দরজার দিকে এগোলেন, কেউ কোথাও নেই। প্রায় হামাগুড়ি দিয়ে পাশের ঘরে গিয়ে ঘুমন্ত রক্ষীদের ডাকলেন। তারা চোখ কচলে উঠে দৌড়ল ডাক্তারের খোঁজে। শাস্ত্রীজীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক দিল্লীর সফরদরজং হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধিকর্তা ডঃ আর এন চৌঘকে রাখা হয়েছিল বেশ কিছুটা দূরে। তিনি দৌড়ে যখন এলেন, তখন প্রায় সব শেষ। ডঃ চৌঘ শিশুর মত কাঁদতে কাঁদতে বললেন, “বাবুজি, আমাকে একটুও সময় দিলেন না বাবুজি!”

সোভিয়েত সরকারের টনক নড়ল। কিছু একটা গোলমাল হয়েছে, বা হচ্ছে আন্দাজ করে কেজিবির নবম ডাইরেক্টরেট, যাঁরা ভিআইপিদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকত, তৎক্ষণাৎ কাজে নেমে পড়ল। বাসভবনের মুখ্য পরিচারক, আহমেদ সাত্রোভকে ভোর চারটের সময় তুলে নিয়ে যাওয়া হল গোপন দপ্তরে। সাথে আরও তিন সহকারী। সাত্রোভের বয়ানে জানা যায়, তদন্তের ভয়াবহতায় কয়েক ঘন্টায় তাঁদের চুল কালো থেকে সাদা হয়ে গেছিল। সোভিয়েত গোয়েন্দাদের একটিই প্রশ্ন ছিল, “বিষ কে মিশিয়েছে?” কিছুক্ষণ পরে জান মহম্মদকেও সেখানে নিয়ে আসা হয়। সাত্রোভ পরে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, “ওকে দেখেই আমার মনে হয় – এই সেই লোক।”

মজার কথা এই যে, এরপর এই জান মহম্মদ আর কখনো ভারতে ফেরেন নি। চলে গিয়েছিলেন পাকিস্তানে এবং তিনি সারাজীবন ভারত সরকারের পেনশন ভোগ করেছেন গান্ধী পরিবারের বদান্যতায়।

শাস্ত্রীজীর মৃতদেহকে ১১ই জানুয়ারি দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। শরীর যাতে বিকৃত না হয় তার চেষ্টা করা হয়েছিল তাশখন্দেই। তবুও নিকটাত্মীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানে জানা যায়, শাস্ত্রীজীর দৃশ্যমান সারা মুখমণ্ডলে নীলচে ছোপ ছোপ দাগ ছিল, ছিল সারা শরীর জুড়ে বড় বড় ফোস্কা। পেটে আর ঘাড়ের পেছনে দুটি গভীর ক্ষত ছিল। বোঝা যাচ্ছে আততায়ীরা বিষ দিয়ে ক্ষান্ত হয়নি, তাসখন্ডের মাইনাস ডিগ্রি টেম্পারেচারে বাষট্টি বছরের এই শীর্ণ মানুষটিকে উপর্যুপরি প্রহার করাও হয়েছে। ঘাড়ের ক্ষতটি দিয়ে তখনও রক্তক্ষরণ হচ্ছিল, সারা বিছানা রক্তে ভেজা ছিল। আত্মীয়দের কাছে ঘেঁসতে দেওয়া হয়নি, মৃতদেহের পোস্টমর্টেম করার দাবীকেও নস্যাৎ করে দেওয়া হয়। মেয়ে সুমন কাঁদতে কাঁদতে জিজ্ঞেস করলেন, “ইতনা খুন্ কিউঁ বহে রহা?” কে একজন উত্তর দিল, “বডি নামানোর সময় স্ট্রেচারের কানায় লেগে কেটে গেছে।” অনিল সুনীল জানতে চাইলেন বাবার বডির পোস্টমর্টেম হবে না কেন? কোনো উত্তর নেই। সবাই চুপচাপ। তড়িঘড়ি সৎকার করে ফেলা হয় প্রধানমন্ত্রীর নশ্বর দেহ। কোনোমতে গান্ স্যালুট হল। হল না কুচকাওয়াজ। স্ত্রী ললিতা শোকে পাথর, অশীতিপর মা শোকে মূহ্যমান – কে আর বাধা দেবে? নেহরু কন্যা ইন্দিরা পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হলেন। শাস্ত্রীজীর মৃত্যু রহস্যের কিনারা করতে বহুবার সংসদে আওয়াজ তুলেছেন কিছু জনপ্রতিনিধি। সরকার কান দেয়নি।

জরুরী অবস্থা জারির পর, জনতা সরকার প্রথম একটি সংসদীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে শাস্ত্রীজীর মৃত্যুর কিনারা করতে। শাস্ত্রীজীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডঃ চৌঘ এবং শাস্ত্রীজীর নিজস্ব পরিচারক রামনাথকে সংসদে এসে নিজ নিজ বয়ান নথিবদ্ধ করতে অনুরোধ করা হয়। ডঃ চৌঘ সাক্ষ্য দিতে নিজের গাড়িতে করে দিল্লি আসছিলেন। সাথে স্ত্রী ডঃ সরোজিনী চৌঘ, চোদ্দ বছর বয়সী ছোট ছেলে শৈলেন্দ্র, তেরো বছর বয়সী কন্যা শোভা। একটি ট্রাক পথেই তাঁদের পিষে দিয়ে যায়। ছোট মেয়েটি কোনওক্রমে প্রাণে বেঁচে যায়, তবে সারাজীবনের মতো পঙ্গু হয়ে যায়। বড় ছেলে উপেন্দ্র বাড়িতে থাকায় রক্ষা পায়। ওদিকে রামনাথ সাক্ষ্য দিতে যাবার আগে শাস্ত্রীজীর বিধবা স্ত্রী ললিতাদেবীর সাথে দেখা করে বলে, “মাগো, বহুদিন বহু কথা বুকে জমে ভার হয়ে চেপে আছে। আজ সব কথা বলে হালকা হবো মা।”
রামনাথ হালকা হয়েছিল বটে, তবে সাক্ষ্য আর দেওয়া হয়নি। সংসদের গেটের সামনেই একটি চলন্ত গাড়ি তাকে ধাক্কা দিয়ে পায়ের ওপর দিয়ে চলে যায়। দুটো পা কেটে বাদ দিতে হয়, মাথার আঘাতে স্মৃতিশক্তিও লোপ পায়। সবই কাকতালীয়। সংসদীয় কমিটির রিপোর্ট পেশ হয়, তবে তার আর হদিশ পাওয়া যায় না। তথ্য আইনের সূত্র ধরে কেউ কোনও তথ্য জানতে চাইলে জানানো হয় ফাইল হারিয়ে গেছে বা নথি নষ্ট হয়ে গেছে।

শাস্ত্রীজীর মৃত্যুর সমসাময়িক আরেকটি রহস্য মৃত্যুর দিকে নজর করা জরুরি। ভারতীয় বিজ্ঞানী হোমি জাহাঙ্গীর ভাবার মৃত্যু। শাস্ত্রীজীর মৃত্যুর দু সপ্তাহ পরই এই তথাকথিত বিমান দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। ভাবা এক প্রথিতযশা পরমানু বিজ্ঞানী ছিলেন। লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ভারতকে পরমানু শক্তিধর রাষ্ট্র বানাতে বদ্ধপরিকর ছিলেন। ডঃ ভাবা ও শাস্ত্রীজীর মৃত্যু একটি বৃহৎ পরিকল্পনার অংশ, একই সুতোয় বাঁধা সে বিষয়ে সন্দেহ নেই নিশ্চয়।

নেতাজী অন্তর্ধান রহস্যের মতই রহস্যাবৃত শাস্ত্রীজীর মৃত্যু। সবাই সব জানে, বোঝে, তবুও ফিসফিসানি, একটা চুপ্ চুপ্, বাদ্ দে তো টাইপের হাবভাব। কে জানে কেন!

শাস্ত্রীজী মহাত্মা ছিলেন। নিজেকে সৎ হিসেবে প্রমাণ করা বা বিজ্ঞাপিত করার তাগিদ নয়, সততা তাঁর রক্তে ছিল। সততা ছিল তাঁর চেতনায়, কর্মে। তাঁর জীবনই ছিল তাঁর বাণী।

সত্যি চাপা দেওয়া অসম্ভব
🙏🏻🌹🙏🏻

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.