সমকামিরা জেহাদি সন্তান উৎপাদন করতে পারে না তাই তাদের বাঁচার অধিকার নেই ইসলামিক আমিরশাহী আফগানিস্তানে

আফগানিস্তানে সমকামীদের মহা বিপদ। জানতে পারলেই নিশ্চিত মৃত্যু , কোনো প্রকারে লুকিয়ে আছে আফগান সমকামীরা, কেউ বা প্রাণভয়ে ছুটছেন।

ইসলামে সমকামীতার কোনো স্থান তো নেই , বরং সমকামীদের ঘৃণা করা হয় এবং মুসলিম সমাজের কলঙ্ক ও ইসলামের(Islam) দর্শনের চরম পরিপন্থী বলে গণ্য করা হয়।
আসল কারণ কিন্তু অন্য। সমকামে আপত্তি এই জন্য যে সমকামীরা জেহাদি সন্তান উৎপাদন করতে পারে না, তাই তাদের বাঁচার কোনো অধিকার নেই।

তালিবানদের হাতে ধরা পড়লে মৃত্যু দণ্ড তো নিশ্চিত কিন্তু এই মৃত্যুও এতো সহজে আসবেনা, সমকামীদের মৃত্যু দ্বন্দ্ব দেওয়া হয় ইসলামী কায়দায় অতি নিষ্ঠুর ভাবে।
কখনো তাদের গলা কেটে খুন করার আগে চোখ উপড়ে নেওয়া হয় , বা হাত পা কেটে নেওয়া হয় বা যৌনাঙ্গ (নারী /পুরুষ উভয়েরই ) কেটে নেওয়া হয়। সুতরাং এই ভয়ঙ্কর পরিণত যেন আফগান সমকামীদের না হয় তাই যে কোনো মূল্যে আফগান সমকামীদের দেশ ছাড়তে উপদেশ দিলেন আফগানিস্তানে সমকামী আন্দোলন ও আফগান সমকামীদের অন্যতম মুখ নেমাত সাদাত(Nemat Sadat)।

তালিবান রাজ্যের অনেক আগে থেকেই ইসলামের রীতি ও নীতি মেনে খুব খারাপ ব্যবহার করা হতো আফগান সমকামীদের সাথে। চাকরির ক্ষেত্রে বৈষম্য , সামাজিক লাঞ্ছনা , উত্যক্ত করা ও শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন , এইসব ইসলামিক আফগানিস্তানের সমাজে তালিবান রাজের অনেক আগে থেকেই চলতো।

শুধু আফগানিস্তানই নয় , পৃথিবীর যে কোনো ইসলামিক দেশেই সমকামীদের কম বেশি একই অবস্থা।

এই সব সহ্য করতে না পেরেই এক সময় দেশ ছাড়েন নেমাত সাদাত।
চলে যান আমেরিকায়। তবে সাদাত আবার দেশে ফিরে আসেন নয় বছর আগে ২০১২ সালে। কাবুলের(Kabul) আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অফ আফগানিস্তান(American University of Afganisthan) বা AUAF এর রাষ্ট্র বিজ্ঞানের(Political Science) অধ্যাপক (professor)হিসাবে চাকরি শুরু করেন।
তবে বেশিদিন তিনি টিকতে পারেননি , তালিবান রাজ শুরু হওয়ার আগেই আবার দেশ ছেড়ে আমেরিকায় পালাতে হয় তাঁকে।

এদিকে তালিবানদের তরফে খুব স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়েছে যে একজন সমকামী / উভলিঙ্গ বা সেই জাতীয় কোনো মানুষকে বেয়াত করা হবেনা কোনো ভাবেই এবং ইসলামের অতিকঠোর বিধি মেনেই তাদের চরম শাস্তি দেওয়া হবে।

তালিবানরা এও জানায় যে আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অফ আফগানিস্তান (AUAF) এখন উভলিঙ্গ , সমকামীদের মতো নোংরা ও ঘৃণ্য কীটদের আঁতুরঘর হয়ে গিয়েছে”।

এই AUAF বিশ্ববিদ্যালয় টি খুব শীঘ্রই ধ্বংস করে দেওয়া হবে বলেও জানানো হয় তালিবানদের তরফে।

Summary: Left in the lurch, the LGBT community was always subject to torture and humiliation but after Taliban’s storming to power, they fear for being executed as Islam does not approve homosexuality. The LGBT people are defined as ‘ sub humans’ and death penalty is something that LGBT community can only face under Taliban who unleash every form of brutality to kill them .

Taliban generally gouge their eyes out, cut their limbs or genitals or breasts get severed from their bodies.

Nemat Sadat , a US-based Afghan LGBT leader, asked all LGBT people of Afghanistan to flee where ever they can .

He had got settled in the US long ago. Later, he returned to Afghanistan from USA in 2012 as professor of political science in American University of Afghanistan (AUAF), Kabul .

But before Kabul’s fall to Taliban, he left his homeland for USA again .
Taliban declared that the ” AUAF will be destroyed very soon as it has become a haven for the LGBT movement.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.