ভরা জনসভায় হিন্দুদের বিরুদ্ধে বিষ উগরে দিলেন উত্তরপ্রদেশের এআইএমআইএমের রাজ্য সভাপতি শওকত আলি। মুসলিমরা চারটে বিয়ে করলেও প্রত্যেক স্ত্রীকে সম্মান দেয়। কিন্তু হিন্দুরা একটা বিয়ে করে আর তিনটে রক্ষিতা রাখে। এমনই বললেন শওকত। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর এহেন মন্তব্য নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে।
উত্তরপ্রদেশের এক সভায় শওকত আলি বলেন, ‘লোকে বলে আমাদের তিনটে করে বিয়ে। আমাদের দু’ টো বিয়ে হলেও আমরা প্রত্যেক স্ত্রীকেই সমাজে সমান সম্মান দিয়ে থাকি। কিন্তু আপনারা (হিন্দুরা) একজনকে বিয়ে করেন আর তিনজন রক্ষিতা রাখেন। স্ত্রীকেও সম্মান দেন না, ওই রক্ষিতাদেরও নয়’।
হিন্দু বিবাহের পাশাপাশি হিজাব বিতর্ক নিয়েও মুখ খোলেন শওকত আলি। তাঁর দাবি, এই দেশে কে কী পোশাক পরবে, সেই সিদ্ধান্ত হিন্দুরা নেবে না। সংবিধান নেবে। শওকতের কথায়, ‘এই ধরনের বিষয়গুলি সামনে এনে দেশকে দ্বিধাবিভক্ত করার কাজ করে চলেছে বিজেপি। কিন্তু কে কোন পোশাক পরবে, তা হিন্দুত্ববাদীরা ঠিক করতে পারে না’।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করা হবে কি না সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি সুপ্রিম কোর্ট। এই পরিস্থিতিতে মুখ খুলেছেন এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসিও। মুসলিমরা মেয়েদের জোর করে হিজাব পরতে বাধ্য করে না বলেই দাবি তাঁর। পাশাপাশি হিজাব দিয়ে মাথা ঢাকার অর্থ মস্তিষ্ককে চেপে রাখা নয়, এমনটাই মনে করেন ওয়েইসি।