কিছুদিন আগে পাকিস্থানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভারতকে উদ্যেশে করে বিতর্কিত মন্তব্য বলেছিলেন। ইমরান খান বলেছিলেন যে সংখ্যালঘুদের সাথে কেমন ব্যাবহার করতে হয় সেটা নাকি তাদের থেকে শেখা উচিত। পাকিস্থানের হিন্দুরা সংখ্যালঘু, সেখানে নাকি সংখ্যালঘুদের খুব যত্ন নেওয়া হয়। এমন দাবি করেছিলেন পাকিস্থানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। যদিও স্বাধীনতার পর থেকে পাকিস্থানে কি হারে হিন্দু সংখ্যা কমেছে তা সকলেই জানে। যাইহোক এখন আর একটা খবর পাকিস্থান থেকে সামনে আসছে যা ভারতের মিডিয়া পুরোপুরি চাপা দিয়ে দিয়েছে। ভারতের মিডিয়া এখন হাজার কিমি দূর, নিউজিল্যান্ডের ঘটনা নিয়ে খবর পরিবেশন করতে ব্যাস্ত কিন্তু প্রতিবেশী দেশ পাকিস্থানে হিন্দুদের কি অবস্থা সেটা নিয়ে খবর দেখানোর প্রয়োজন বোধ করছে না।
জানিয়ে দি, পুরো ভারত যখন হলি উৎসব নিয়ে উৎসাহিত ছিল। তখন পাকিস্থানে ২ জন হিন্দু যুবতীকে কট্টরপন্থিরা তুলে নিয়ে গিয়ে নিখোঁজ করে দিয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই দুই যুবতী দুই বোন এবং হোলির দিন এই দুজনকে পাকিস্থানের কট্টরপন্থীরা তুলে নিয়ে গিয়ে নিখোঁজ করে দিয়েছে। পাকিস্থানের মিডিয়া খবরটি লোকানোর জন্য ভরপুর প্রয়াস করেছিল কিন্তু খবর শেষমেষ বেরিয়ে এসেছে। ঘটনাটি পাকিস্থানের সিন্ধ এলাকায় ঘটেছে।
পাকিস্থানের মিডিয়ার সাথে সাথে ভারতের মিডিয়াও এই ইস্যুতে নিশ্চুপ রয়েছে। পাকিস্থানে হিন্দুদের ওপর যে অত্যাচার করা হয় তার প্রমান আরো একবার সবার সামনে চলে এসেছে। আর এখন কোনো মানবাধিকার কমিশন, কোনো বুদ্ধিজীবী এই নিয়ে মুখ খুলতে রাজি নয়। পাকিস্থানের শোষিত হিন্দু সমাজের জন্য আওয়াজ তোলার কেউ নেই। ইমরান খানের সরকারও এক্ষেত্রে নিশ্চুপ থেকে আসল ছবি দেখিয়ে দিয়েছেন।
জানিয়ে দি, পাকিস্থানে এমন ঘটনা খুবই স্বাভাবিক। হিন্দু মেয়েদের তুলে নিয়ে গিয়ে তাদের ধর্মপরিবর্তন করে অন্য সম্প্রদায়ের মানুষের সাথে জোর করে নিকাহ করে দেওয়া হয়। যেহেতু হিন্দুদের হয়ে আওয়াজ তোলার কেউ নেই তাই এমন ঘটনার হার দিন দিন বাড়তেই থাকে। এমনকি হিন্দু বহুল ভারতের মিডিয়াও এইসব নিয়ে নিশ্চুপ থাকে।