অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা দাবি করেছেন যে, ২০৫০-র মধ্যে অসম দখলের পরিকল্পনা নিয়েছে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা। তিনি জানান, অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা অসমের বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হাসিল করার কাজে লেগে পড়েছে।
উনি বলেন, দরাং জেলার গোরুখুটিতে অতিক্রমণ অসমের ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রের অংশ। বলে দিই, দরাং জেলায় এই অনুপ্রবেশ হটানোর জন্য গত সপ্তাহে পুলিশ আর অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়েছিল। যার দরুন দুজন অনুপ্রবেশকারী মারা গিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এক শ্রেণির মানুষ এই গতিবিধির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।
শর্মা বলেন, আমি ইসলামিক শব্দ ব্যবহার করতে চাইনা। কারণ, অসমের মুসলিমরা ওদের সঙ্গে যুক্ত নয়। এটা এক শ্রেণির মানুষের বিচারধারা। তাঁরা এভাবে অনুপ্রবেশ করে নির্বাচনী কেন্দ্র গুলিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হাসিল করার প্ল্যান করছে। আমি এর আগে মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম না, তখন এসব নিয়ে রিপোর্ট আমার কাছে ছিল না। কিন্তু এখন আমি মুখ্যমন্ত্রী।
উনি বলেন, গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা সিপাঝড়, বোরখোলা আর লুমডিংইয়ে ২০২৬-র মধ্যে জনসংখ্যায় বদল এনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হাসিলের পরিকল্পনায় রয়েছে। গোরুখুটি সিপাঝড় বিধানসভা কেন্দ্রের আওতায় আসে।
উনি বলেন, ২০৫০-র মধ্যে গোটা অসমের বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে তাঁরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা হাসিল করার পরিকল্পনা নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বারক্ষেত্রী আর মঙ্গলদই কেন্দ্রে এভাবে জনসংখ্যা বদলে ফেলার কারণে বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস সেখানে জয় হাসিল করতে সক্ষম হয়েছিল। তাঁর আগে ওই আসনগুলি ভারতীয় জনতা পার্টির দখলেই ছিল।
মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন যে, গোরুখুটি থেকে সরানো ১০ হাজার মানুষের মধ্যে ৬ হাজার জনের নাম রাষ্ট্রীয় নাগরিক পঞ্জিতে নেই। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সেখানে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করা যাদের নাম এনআরসি তালিকায় আছে, তাঁদের সঙ্গে কথা বলব।