হিজল মাঝারি চিরহরিৎ জাতীয় বৃক্ষ। বিজ্ঞানসম্মত নাম —– Barringtonia acutangula.
কবি জীবনানন্দ দাশ হিজল গাছ নিয়ে একাধিক কবিতা রচনা করেছেন। বাংলার রূপের সঙ্গে হিজল গাছের ছায়াকে তুলনা করে লিখেছিলেন, ‘এমনই হিজল-বট-তমালের নীল ছায়া বাংলার অপরূপ রূপ’।
বিলুপ্তির পথে হিজল। কবিতা পড়ার সময় গাছটি দেখার ভীষণ ইচ্ছে হয়েছিল। কিন্ত দেখেও চিনতে পারিনি। ইতিহাস সমৃদ্ধ গৌড় নগরীর মা পাতালচন্ডী মন্দির সংলগ্ন ঝিলে হিজল গাছ ছোটো বেলা থেকেই দেখে আসছি। গাছের গোঁড়ায় সারাবছর জল থাকে। এছাড়াও কাঞ্চনটারে একটি গাছ আছে। তবে গত কয়েকবছর আগে চিনতে পারি। শুনেছি মালদহের, বুলবুলচন্ডীর কাছে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম হিজলের বন আছে। প্রায় সারাবছর গাছগুলো জলে নিমজ্জিত থাকে। এই গাছ জলা জায়গার আশে পাশে বেশি দেখা যায়। প্রচন্ড গ্রীষ্মেও গাছটি বেঁচে থাকতে পারে। গাছটির দুটি প্রজাতি দেখতে পাওয়া যায়, ফুল হয় সাদা ও লাল। পুষ্প মঞ্জুরী কান্ড থেকে ঝুড়ির মতো ঝোলে। গাছের বিষাক্ত অংশ হলো কাঁচা ফল। হিজলের শুকনো ফলের বীজ শুকিয়ে গুঁড়ো করে খেলে পেটের অনেক সমস্যা দূর হয় এছাড়াও গাছটির ঔষধিগুণ আছে। হিজল গাছ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য কারো জানা থাকলে জানাবেন। ছবির স্হান- মা পাতালচন্ডী মন্দির সংলগ্ন ঝিলে।
—-কমল ঘোষ, ইংরেজবাজার, মালদহ। ০১/০৭/২০২১

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.