গরিবী বা অশিক্ষা নয় , কুশিক্ষাই বাংলাদেশকে বানিয়েছে ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদীদের ফ্যাক্টরি, পৃথিবীর অন্যতম শিক্ষিত জঙ্গিদের ঘাঁটি এখন বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের কাউন্টার টেররিসম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট এর (Counter Terrorism and Transnational Crime Unit of Bangladesh) সূত্র , তথা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (Dhaka University) ও অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের (Monash University, Melbourne , Australia) বিভিন্ন সমীক্ষা ও গবেষণা থেকে উঠে এসেছে এই সম্পকিত নানান তথ্য।
তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের ৭৩% জঙ্গিই সেক্যুলার (secular) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করা আর মাত্র ২৭% জঙ্গি মাদ্রাসা (Madrasa) থেকে পাশ করে বেরোনো।
এই ৭৩% সেক্যুলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২০% জেহাদি পড়াশুনা করেছে ইংরেজি মাধ্যমে (English medium) তো বটেই। তারা পড়াশুনা করেছে অভিজাত ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে (International school)। বাংলাদেশের জঙ্গিদের মধ্যেই প্রচুর এম বি এ (M B A) ডিগ্রীধারী আছে বলেও জানা গিয়েছে।
বাংলাদেশে মোট জঙ্গিদের মধ্যে মোট ১০% মহিলা এবং এদের মধ্যে ৯৯% শিক্ষিত। এই তালিকায় আছে কলেজ , বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া এমনকি পিএইচডি (P hD) করা ছাত্রীও।
বাংলাদেশের জঙ্গিদের মধ্যে আবার ৪% শিশুও আছে , যারা কখনো জানতে বা অজান্তে , স্বেচ্ছায় বা অনিচ্ছায় জঙ্গিদের হয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে বাংলাদেশের ৯০% জঙ্গিই ১৮ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে আর এর মধ্যে ২৫% নিম্নবিত্ত , ৫৫% মধ্যবিত্ত ও ২০ % উচ্চবিত্ত ।
সুতরাং একটা বিষয় জলের মতো পরিষ্কার , অভাবে নয় , স্বভাবেই তারা জঙ্গি। এই তত্ব প্রতিষ্ঠিত যে দারিদ্র্য তাদেরকে জঙ্গি বানায় নি। যদি গরিবি মানুষকে জঙ্গি বানাতো তাহলে হিন্দু , খ্রীষ্টান , ইহুদি ও বৌদ্ধ ধর্মালম্বী গরিব লোকেরা ও জঙ্গি দলে নাম লেখাতো, কারণ পৃথিবীতে তাদের মধ্যেও অনেক গরিব মানুষ আছে।