করোনাকালে সাহায্যের লোভ দেখিয়ে গরিব বস্তিবাসীকে ধর্মান্তকরণের অভিযোগ উঠল ৯ জন খ্রিস্টানের বিরুদ্ধে। উত্তর প্রদেশের মীরাটের ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বস্তিবাসীদের হিন্দু দেবতাদের প্রতিমা ভেঙে ফেলার পরামর্শ দেয় তারা। এই ঘটনার খবর পেয়েই প্রতিবাদ জমায়েত করেন স্থানীয় বিজেপি নেতা। নড়চড় বসে প্রশাসন। তবে এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
সেই সময় লকডাউন চলছিল। স্থানীয় বস্তিবাসীর পক্ষে ঘর থেকে বেরোনো সম্ভব হচ্ছিল না। অভিযোগ, তখনই খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ৯ ব্যক্তি ধর্মান্তকরণের ফাঁদ পাতে! তারা খারাপ সময়ে বস্তিবাসী বেশ কয়েকটি পরিবারকে সাহায্য করে। এর পরেই তাঁদের ধর্ম বদলাতে জোর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকী ঘরে রাখা হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি ভেঙে ফেলতে বলে অভিযুক্তরা। পুজো বন্ধ করে চার্চে যেতে বলা হয়। খ্রিস্টান ধর্মই শ্রেষ্ঠ ধর্ম, এই বার্তা দেওয়া হয়েছিল গরিব বস্তিবাসীকে।
এক বস্তিবাসী এই বিষয়ে অভিযোগ জানানোর পরে গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। তিনি জানিয়েছেন, আধার কার্ডে নাম পরিবর্তন করতে বলা হয়েছিল তাঁদের। ওই ব্যক্তি বলেন, ‘আমরা দিওয়ালি পালন করছিলাম, সেই সময় বাড়িতে ঢুকে হিন্দু দেবতার ছবি ছিঁড়ে দেয় ওরা। ওরা জানায় আমরা ইতিমধ্যে ধর্মান্তরিত হয়েছি, ফলে প্রভু যিশুর কাছে প্রার্থনা জানাব এখন থেকে। একথায় প্রতিবাদ জানালে একেক জনের থেকে ২ লক্ষ টাকা করে দাবি করা হয়। এই বিষয়ে প্রশাসনকে কিছু জানালে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেয় অভিযুক্তরা’।