কাশ্মীর প্রসঙ্গ নিয়ে রবিবার উত্তপ্ত বাদানুবাদ হয়ে গেল ভারত-পাকিস্তানের। মালদ্বীপের রাজধানী মালে-তে দক্ষিণ এশিয়ার স্পিকারদের নিয়ে একটি সম্মেলন ছিল। তাতে দেখা যায় রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ এবং পাকিস্তানের দুই প্রতিনিধির মধ্যে কাশ্মীর নিয়ে তীব্র বিতর্ক চলছে।
ওই সম্মেলনে কাশ্মীর প্রসঙ্গ গোড়ায় উত্থাপন করেন পাক প্রতিনিধিরাই। পাকিস্তানের প্রতিনিধি, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। তা নিয়ে চোখ বুজে থাকা যায় না।
পাক প্রতিনিধির ওই কথাতেই তীব্র আপত্তি জানান নয়াদিল্লির প্রতিনিধি। রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ একটি পয়েন্ট অব অর্ডার উত্থাপন করেন। তার পর বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে এই সম্মেলনে ভবিষ্যতের লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। কাশ্মীর প্রসঙ্গ এই সম্মেলনের অ্যাজেন্ডায় নেই। তা সত্ত্বেও যে ভাবে কাশ্মীর প্রসঙ্গ ইচ্ছাকৃত ভাবে তুলে আনছেন পাক প্রতিনিধিরা তা মেনে নেওয়া যায় না। সুতরাং ওই সব কথা প্রত্যাহার করতে হবে।
রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান আরও বলেন, কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তু সেই অঞ্চলকে অস্থির করে রাখতে চায় পাকিস্তান। সেই কারণেই উপত্যকায় জঙ্গি অনুপ্রবেশে ও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে পাক প্রশাসন সরাসরি মদত যোগাচ্ছে।
কিন্তু ইসলামাবাদের প্রতিনিধিরা যেন পণ করে এসেছিলেন, যেন তেন প্রকারে কাশ্মীরের প্রসঙ্গ তুলবেনই। হরিবংশের এই আপত্তি নিয়ে পাল্টা মত জানান পাক সেনেটর কুরাত উল আন মার্রি। তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের ব্যাপারে এখানে আলোচনা হচ্ছে। কোথাও যদি মানবাধিকারই লঙ্ঘিত হয় তা হলে উন্নয়ন হবে কী ভাবে?
ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। তবে দেখা যায় রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যানই অনেক বেশি আগ্রাসী। পরে তাঁর বক্তৃতায় পাল্টা পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রসঙ্গ তোলেন হরিবংশ। তিনি বলেন, যে রাষ্ট্র তার নিজের মানুষকেই হত্যা করে তাদের কাশ্মীর প্রসঙ্গ তোলার কোনও অধিকার নেই।
স্বাভাবিক ভাবে এতে ফের আগুনে ঘি পড়ে। তখন হরিবংশের বক্তব্যে আপত্তি জানান পাক প্রতিনিধিরা। পাক সেনেটর কুরাত উল আন মার্রি বলেন, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদে মদত দেয় না। নিজেরাই সন্ত্রাসবাদের শিকার। তাই ভারতীয় প্রতিনিধি যেন তাঁর কথা প্রত্যাহার করেন।