দেশে এক লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে করোনা ভাইরাসে (Coronavirus) সংক্রমণের সংখ্যা।গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৯৭০ জন এই অসুখে আক্রান্ত হয়েছেন ! এই অসুখে মৃত্যু হয়েছে ৩১৬৩ জনের। এরইমধ্যে চতুর্থ দফার লকডাউন এর জন্য নতুন নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Health Ministry)। নতুন এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে কোন অফিসে যদি একজনও করোনায় আক্রান্ত হন তাহলে পুরো অফিস সঙ্গে সঙ্গে সিল করে দিতে হবে! এরপর নিয়ম মেনে পুরো অফিস সংক্রমণমুক্ত করার পর তবেই তা খোলা যাবে ফের! তবে একজনের বদলে একাধিক লোক যদি ওই অফিসে আক্রান্ত হন ৪৮ ঘন্টার জন্য পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে হবে অফিস। যতদিন না অফিস পুরো সংক্রমণমুক্ত হচ্ছে ততদিন বাড়ি থেকে কাজ করবেন কর্মীরা।
যদি দেখা যায় এক অফিসেই একাধিক উপসর্গযুক্ত এবং উপসর্গবিহীন ব্যক্তি রয়েছেন তাহলে কাজ করার সময় তৈরি করতে হবে ক্লাস্টার! রোগ থেকে বাঁচার জন্য কর্ম ক্ষেত্রে ক্লাস্টার মেনে চলতে হবে কঠোরভাবে! অফিসে কোন কর্মী সংক্রামিত হলে তাঁর আশেপাশে যে সমস্ত কর্মীরা বসেন তাঁদেরকে পাঠাতে হবে কোয়রান্টিনে । অফিসের কোন কর্মীর কাজ করতে করতে যদি ফ্লু এর মতো কোনও উপসর্গ দেখা যায় এবং সেই সঙ্গে আরো কিছু উপসর্গ দেখা যায় যেগুলো করোনার মত সেক্ষেত্রে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে আলাদা জায়গায় নিয়ে গিয়ে বসাতে হবে।
ডাক্তারি পরীক্ষা না হওয়া পর্যন্ত অসুস্থ ব্যক্তি কে দিতে হবে মাস্ক এবং মুখ আবরণ। চিকিৎসক পরীক্ষা করে দেখার পর যদি দেখা যায় ওই ব্যক্তির সত্যিই উপসর্গ রয়েছে, সে ক্ষেত্রে খুব সামান্য লক্ষণ থাকলেও তাকে বাড়িতে আইসোলেশন পাঠাতে হবে।