স্বাস্থ্য সেবাই রাষ্ট্র সেবা“, শব্দবন্ধটিই বেদবাক্য রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবকসঙ্ঘের (RSS) এর চিকিৎসক দের সংগঠন ন্যাশনাল মেডিকোস অর্গানাইজেশনের কাছে।তাই ভয়াবহ আম্ফান কবলিত এলাকায় একশোর বেশী মেডিকেল ক্যাম্প করার লক্ষ্যে একেবারে শুরু থেকেই ঝাপিয়ে পড়েছে এই সংগঠন টি।ইতিমধ্যেই তারা সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে একদিনেই ১০ টি মেডিকেল ক্যাম্পের একটি ” মেগা শিবির” করে এসেছে।

গতকাল ০৮:০৭:২০২০ তারিখ বুধবারে এই সংগঠনটি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের বিবিধ ক্ষেত্রের অপর সংগঠন সমাজসেবা ভারতীর সাথে যৌথ উদ্যোগে হাসনাবাদের মহেশপুকুর এলাকায় একটি স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করে।এদিনের স্বাস্থ্য শিবিরে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল মেডিকোস (NMO) এর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য শাখার অফিস সম্পাদক মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ড: শৌর্য ব্যানার্জী (Dr. Shaurya Banerjee) এবং প্রখ্যাত শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ড: পার্থ চক্রবর্তী মহাশয়।করোনা এবং আম্ফান ঝড়ের দ্বৈত দাপটে সুন্দরবনের দ্বীপ অঞ্চলের মানুষের জীবনে যে ভয়াবহতা নেমে এসেছে তা যে কোন শহুরে সাধারন মানুষের কল্পনার বাইরে। সব শেষ হয়ে যাওয়া মানুষের জীবনে হাজির হয়েছে আম্ফান পরবর্তী নানা রকমের অসুখবিসুখ। আর তাদের দ্বারপ্রান্তে চিকিৎসা পরিষেবা পৌছে দিতে এদিন ওই বিস্তীর্ন অঞ্চলের প্রায় ২৫০ জন মানুষকে চিকিৎসা সেবা সহ ওষুধপত্র এবং কোভিড-১৯ থেকে বাঁচতে পর্যাপ্ত পরিমানে মাস্ক তুলে দেওয়া হয় এলাকার প্রত্যেকটা পরিবারের হাতে

ড: শৌর্য বাবুকে জিজ্ঞাসা করা হয় এই যে আপনারা একের পর এক বড় বড় মেডিকেল ক্যাম্প করে চলেছেন এতে আপনাদের পেশাগত জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না? উত্তরে তিনি বলেন “বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাড়ানোই আমাদের মুল মন্ত্র। মানুষের পাশে দাড়াতে যেয়ে আমরা নিজেদের জীবনের কথা ভাবিনা।”

তারা যতদিন না ওই অঞ্চলের মানুষের জীবনে স্বাভাবিক ছন্দ ফিরে আসছে ততদিন পর্যন্ত এভাবেই বিভিন্ন এলাকায় বিনামুল্যে স্বাস্থ্য শিবির চালিয়ে যেতে চান।নররূপী নারায়নের সেবায় নিজেদেরকে নিয়োজিত রেখে আত্ম এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির সাথে সাথে দেশকল্যানের কাজে তথা রাষ্ট্রহীতে এভাবেই এগিয়ে যেতে বদ্ধ পরিকর সঙ্ঘের এই চিকিৎসক সংগঠন ন্যাশনাল মেডিকোস অর্গানাইজেশন।

প্রতিবেদন : সজল মন্ডল (Sajal Mandal)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.