দরকার হলে সুপ্রিম কোর্টে যাব। এই হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত, তাদের ফাঁসি না হওয়া অবধি থামব না। রবিবার অমেঠীর বারাউলি গ্রামের সুরেন্দ্র সিং-এর মৃত্যুর পরে শপথ নিলেন সদ্য নির্বাচিত হওয়া সাংসদ স্মৃতি ইরানি। দীর্ঘকাল যাবৎ সুরেন্দ্র ছিলেন স্মৃতির নির্ভরযোগ্য সহকারী। অমেঠী বরাবর নেহরু-গান্ধী পরিবারের দুর্গ বলে পরিচিত। সেখানে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে হারিয়ে এবার জিতেছেন স্মৃতি। তার পরেই সুরেন্দ্র আততায়ীর গুলিতে নিহত হন।
রবিবার রাত তিনটে নাগাদ সুরেন্দ্রকে গুলি করে মারা হয়। তাঁর ছেলে অভয় জানিয়েছেন, রাতে তিনি নিজের ঘরে শুয়ে ঘুমোচ্ছিলেন। ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ।
অনুগামীর মৃত্যুর খবর পেয়ে রবিবার বিকালে অমেঠী পৌঁছান স্মৃতি। সুরেন্দ্রর মরদেহ যে খাটে বহন করা হচ্ছিল, তাতে কাঁধ দেন সাংসদ। পরে বলেন, সুরেন্দ্রজির পরিবারের কাছে আমি শপথ নিয়েছি, যে তাঁকে গুলি করেছিল এবং যে তাকে ওই কাজ করতে হুকুম দিয়েছিল, দু’জনকেই মৃত্যুদণ্ড দেওয়াব। সেজন্য যদি সুপ্রিম কোর্ট অবধি যেতে হয়, তাও যাব। পরে তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ চেষ্টা করছেন যাতে সকলে ন্যায়বিচার পান।
নির্বাচনের আগে বেশ কিছুদিন ধরে অমেঠীতে ছিলেন স্মৃতি। সুরেন্দ্র সিং তাঁর নির্বাচনী প্রচারে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন। স্মৃতি ভাষণে সুরেন্দ্রর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলেন।
সুরেন্দ্রর স্ত্রী রাজকুমারী সিং বলেন, বিজেপির হয়ে প্রচার করেছিলেন বলে তাঁর স্বামীকে খুন হতে হয়েছে। তাঁর দাবি, আমার স্বামীর সঙ্গে কারও ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল না। তিনি স্মৃতিজিকে জিততে সাহায্য করেছিলেন। তাই তাঁকে খুন হতে হয়েছে।
সুরেন্দ্রর ছেলে বলেন, খুনের পিছনে আছে কংগ্রেস। তাঁর কথায়, আমার বাবা স্মৃতি ইরানির সহকারী ছিলেন। তাঁর জন্য রাতদিন পরিশ্রম করেছেন। স্মৃতিজি জেতার পরে বিজয় মিছিল বেরোয়। মনে হয় কংগ্রেসীরা তা দেখেই রেগে গিয়েছিল।
স্মৃতি এবার রাহুলকে ৫৫ হাজার ভোটে পরাজিত করেছেন। উত্তরপ্রদেশে একটির বেশি আসন পায়নি কংগ্রেস। স্মৃতি রবিবার রাহুলকেও কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, জেতার পরে আমি মেসেজ পেয়েছিলাম, অমেঠী কো প্যার সে সম্ভালনা। আমি সেকথা মনে রেখেছি।
পুলিশ জানিয়েছে, সুরেন্দ্রর সঙ্গে কয়েকজনের পুরানো শত্রুতা ছিল। তবে রাজনৈতিক কারণেই এই খুন কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।