পাকিস্তান বাহিনী তাঁদের দেশে যে অস্থিরতার পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছেন, তা সফল হতে দেব না বললেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের ৪৯ তম বিজয় দিবসের এক অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, কঠিন লড়াইয়ের পর বাংলাদেশ যে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল, আজ পাকিস্তান ও তাঁর মিত্ররা তা হাতিয়ার করে বাংলাদেশের পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে চাইছেন।
শেখ হাসিনার মতে, “বাংলাদেশের স্বাধীনতা আনার জন্য কয়েকশো মানুষ রক্ত ঝরিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর (শেখ মুজিবর রহমান) এক ডাকে মানুষ স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এবং শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছিল। তাই তাঁদের ত্যাগ ভুললে চলবে না। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। সর্বদা আমাদের লক্ষ্য ছিল অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে পাকিস্তানের থেকে এগিয়ে থাকা। আজ আমরা তাঁদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছি। এই সাফল্য ধরে রাখার এখন আমাদের কর্তব্য।”
১৯৭১ সালের আগে বাংলাদেশ, পাকিস্তানের একটি অংশ ছিল। যেটি পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু পাকিস্তানের সেনার অত্যাচারের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ মুক্তি বাহিনী তৈরি করেছিলেন। ভারত এই আন্দোলনে বাংলাদেশকে সমর্থন করেন। এই কারণেই ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ হয়েছিল। ১৩ দিনের লড়াইয়ে ভারত পাকিস্তানকে পরাজিত করে। এই লড়াইয়ে পাকিস্তানের ৯০ হাজার সৈনিক গ্রেফতার হয়। নতুন রাষ্ট্র তৈরি হয় বাংলাদেশ। প্রতি বছর ১৬ ডিসেম্বর এই দিনটিতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশও বিজয় দিবস পালন করে।