আশিস পরিচয়ে হিন্দু মেয়ের সঙ্গে প্রেম, বিয়ের আগের দিন ধরা পড়ে গেল হাসিন সইফি

ফের লাভ জেহাদ। পরিচয় লুকিয়ে হিন্দু তরুণীকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে বিয়ের পরিকল্পনা করেছিল এক মুসলিম যুবক। ধরা পড়ে গেল বিয়ের আগের দিন। ধর্মান্তকরণের চেষ্টা, ধর্ষণ, প্রতারণা-সহ একাধিক অভিযোগে গ্রেফতার করা হল মুসলিম যুবককে। এমন ঘটনায় গ্রেটার নয়ডা এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা তরুণীর সঙ্গে আলাপ জমানোর সময় নিজেকে আশিস ঠাকুর বলে পরিচয় দেয় যুবক। যদিও তার আসল নাম হাসিন সইফি। ওই তরুণী ও হাসান যখন নয়ডার দাদরি এলাকায় থাকতেন তখনই উভয়ের মধ্যে পরিচয় হয়। ওই সময় চাকরি চলে গিয়েছিল তরুণীর। মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, এই সুযোগ কাজে লাগায় হাসান। সহানুভূতি দেখিয়ে আলাপ জমিয়েছিল সে। প্রেমের ফাঁদে পড়ে যান তরুণী।

এরপর উভয়ের দাদরির এসকর্ট কলোনি এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া করে একসঙ্গে থাকতে শুরু করেছিলেন। তদন্তকারী পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, উভয়ের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও তুলেছিল হাসান। সেই ভিডিও দেখিয়ে তরুণীকে বিয়ের জন্য চাপ দিত সে। এরপরেই বিয়ের বিষয়টি পাকা করেন তরুণী। সোমবারই বিয়ের হওয়ার কথা ছিল তাঁদের। যদিও তার আগে রবিবারে যুবকের নাম-পরিচয় লোকানোর বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছিল।

রবিবার ছেলের খোঁজে এসকর্ট কলোনির ফ্ল্যাটে আসেন অভিযুক্ত যুবকের বাবা শাকিল সইফি। তিনি স্থানীয়দের কাছে জানতে চান, হাসান সইফি নামের কেউ এই ফ্ল্যাটে থাকছে কিনা। উত্তরে প্রতিবেশীরা জানান, যিনি ফ্ল্যাটের যুগ্ম বাসিন্দা তাঁর নাম আশিস ঠাকুর। ঘটনার সময় ফ্ল্যাটে ছিলেন না অভিযুক্ত যুবক। উপস্থিত ছিলেন তরুণী। এই ঘটনায় গোটা বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যায় তাঁর কাছে। এরপরই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। পুলিশ দ্রুত আশিস ঠাকুর ওরফে হাসান সইফিকে গ্রেফতার করে। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মন্তকরণের চেষ্টা, ধর্ষণ, প্রতারণা-সহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.