থাইল্যান্ডের প্রভাবশালী বিনিয়োগকারীদের কাছে পরিবর্তিত ভারতের ছবি তুলে ধরলেন প্রধামমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেদেশের রাজধানী ব্যাঙ্ককে তিনি বলেন, “পরিবর্তনশীল ভারতে এখন গতে বাঁধা ধারায় কাজ ও আমলাতন্ত্রের অবসান হয়েছে।” আসিয়ান-ভারত বৈঠক, বার্ষিক পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির বৈঠক ও আরসিইপি-র বৈঠকে যোগ দিতে তিন দিনের সফরে শনিবার ব্যাঙ্ককে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারীদের ভারতে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানার নোর সময় প্রধানমন্ত্রী মোদী বিশেষ ভাবে জোর দেন দেশের কর সংস্কারের ব্যাপারে। এখন ভারত যে নতুন ‘ফেসলেস ট্যাক্স অ্যাসেসমেন্ট’ চালু করেছে, তাতে পক্ষপাতিত্ব ও হয়রানির কোনও উপায়ই নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
তিনটি প্রধান বৈঠকে যোগ দেওয়া ছাড়াও ব্যাঙ্ককে উপস্থিত বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তাঁর ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতি কার্যকর করতে মূলত দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার ১০টি দেশের উপরেই বেশি জোর দিচ্ছেন এই সফরে। বেশ কয়েকটি অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বৈঠকও করে নিচ্ছেন তিনি।
দেশের অর্থনীতির শ্লথগতির জন্য এখন বিরোধীরা বারে বারেই তাঁকে বিঁধছে। ১৬ সদস্যের দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্যে ভারত সায় দিলে সোমবার চুক্তি সই হতে পারে। তার বিরূপ প্রভাব দেশের অর্থনীতির উপরে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে কংগ্রেস।
আরসিইপি নিয়ে সিদ্ধান্তের কথা রয়েছে সোমবার। তার আগেই থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারীদের সামনে ভারতে বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধার কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই ইজ অফ ডুইং বিজনেসের যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে ১৪ ধাপ উপরে উঠে ৬৩ তম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে ভারত। ২০১৫ সালে ১৮৯টি দেশের তালিকায় ১৪২ নম্বরে স্থান ছিল ভারতের। কর ব্যবস্থার বিন্যাস এবং কর্পোরেট কর সংক্রান্ত পরিবর্তন ভারতকে তালিকার উপরে উঠতে সাহায্য করেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী চান, এই তালিকায় প্রথম ৫০-এর মধ্যে ভারতকে তুলে আনতে।
তালিকা প্রকাশের পরে বিশ্ব ব্যাঙ্কের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ভারতে এসে কয়েক দফা পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, দেশের বিচারব্যবস্থায় কী ধরনের সরলীকরণ করলে এই সূচকে আরও উপরে উঠতে পারে ভারত।