এ বছর বাজেট পেশের সময়ই হরিয়ানা সরকার ইঙ্গিত দিয়েছিল রাজ্যবাসীর জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা চালু করা হবে। করোনা মহামারী অর্থনীতিতে আঘাত দেওয়ার পরই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল হরিয়ানা। এবার হরিয়ানা সরকার ঘোষণা করল নবম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে শিক্ষা দেবে রাজ্য সরকার। এর ফলে পড়ুয়াদের মধ্যে গ্র্যাজুয়েশন করার প্রবণতা বাড়বে।
২০২১-২২ অর্থবর্ষে হরিয়ানা সরকার যে বাজেট পেশ করেছে সেখানে স্বাস্থ্য, কৃষি ও পরিকাঠামোর উন্নতি করার কথা বলা হয়েছিল। কারণ গত বছর কোভিড মহামারীর কারণে প্রচুর ক্ষতির মুখে পড়েছিল রাজ্য়। সেখান থেকে ফের উঠে দাঁড়াতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। সেই বাজেটেই নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের বিনামূল্যে শিক্ষা দেওয়ার কথা ঘোষণা হয়। হরিয়ানার সরকারি স্কুলগুলিতে মিলবে এই সুবিধা। শুধু তাই নয়। রাজ্যে ডাক্তারি পড়ার ক্ষেত্রেও এসেছে সুবিধা। রাজ্যের ৮টি নতুন মেডিক্যাল কলেজ তৈরির ব্যাপারেও আর্থিক সাহায্য করবে সরকার। বিধানসভায় হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর রাজ্যের অর্থনীতির দায়িত্বও সামলান। আগামী অর্থবর্ষের জন্য তিনি ১.৫৬ লক্ষ কোটি টাকা বাজেটের ঘোষণা করেছেন।
পরের বছর বাজেট ঘোষণার সময় হরিয়ানার সরকার রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থায় ‘কেজি টু পিজি’ নামে একটি প্রোগ্রাম নামে একটি নতুন উদ্যোগও চালু করে। এর মাধ্যমে পড়ুয়ারা উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে সাহায্য পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই নতুন উদ্যোগের আওতায় হরিয়ানার পড়ুয়ারা নার্সারি থেকে শুরু করে কোনও গ্র্যাজুয়েশন পর্যন্ত একটি মাত্র প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করতে পারবে। এই প্রোগ্রামটি প্রাথমিকভাবে কুরুক্ষেত্র বিশ্ববিদ্যালয় এবং রোহতকের এমডিইউয়ের মধ্যে চালু হবে। এই পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার ২০২৫ সালের আগে ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসিতে (এনইপি) একাধিক উপাদান যোগ করার কথা ভাবছে রাজ্য। এর ফলে জাতির শিক্ষার মানচিত্রে একটি স্বতন্ত্র জায়গায় পৌঁছনোর চেষ্টা করছে রাজ্য। পরবর্তী অর্থবর্ষে এই নতুন উদ্যোগের আওতায় নুহেতে একটি নতুন ডেন্টাল কলেজ খোলার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য। পাশাপাশি ঝিন্দ, কৈথল, যমুনানগর, ফরিদাবাদ, মহেন্দ্রগড় ও সিরসাতেও নতুন মেডিকেল কলেজ তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে হরিয়ানা সরকারের।