কুতুব মিনারের সামনে পড়া হল হনুমান চাল্লিশা। এটি পড়ার সময়ে সেখানে উপস্থিত ছিল একাধিক বড়ো হিন্দু সংগঠন। হনুমান চাল্লিশা পাঠ ছাড়াও হিন্দু সংগঠনগুলো কুতুব মিনারের নাম পরিবর্তন করে ‘বিষ্ণু স্তম্ভ’ নাম রাখার দাবি করলেন। তাঁদের দাবি, এই মিনারটির নির্মাণ ২৭টি জৈন ও হিন্দু মন্দির ভেঙে হয়েছিল।
এসবকিছুই হয় চলতি সপ্তাহে মঙ্গলবারে তথা ১০ই মে তারিখে। একাধিক ঋষি ও সাধুদের উপস্থিতিতে হনুমান চাল্লিশা পাঠ করা হয়। এছাড়াও এই সভায় হিন্দু ফ্রন্টের আন্তর্জাতিক কার্যকরী সভাপতি এবং জাতীয়তাবাদী শিবসেনার জাতীয় সভাপতি উপস্থিত ছিলেন। ইউনাইটেড হিন্দু ফ্রন্ট আপাতত প্রাথমিকভাবে কুতুব মিনার কমপ্লেক্সে জৈন ও হিন্দু দেবদেবী প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে পুজো করার অনুমতি আদায় করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে।
এই ব্যাপারে একটি মামলাও দায়ের হয়েছে আদালতে। অ্যাডভোকেট হরিশঙ্কর জৈন এই মামলাটি দায়ের করেছিলেন। আদালতে তাঁর তরফে দায়ের হওয়া পিটিশনে দাবি করা হয় যে, সুলতানি যুগে কুতুবউদ্দিন আইবক কর্তৃক এই মিনার নির্মাণ ২৭টি মন্দির আংশিকভাবে ভেঙে ফেলার পরে, সেই ভগ্নাবশেষের ওপর করা হয়েছিল।
2022-05-14