হাঁসখালিতে তৃণমূল নেতার ছেলের জন্মদিনের পার্টিতে নাবালিকাকে ডেকে ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল বাংলা। ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকে বিজেপির ডাকে এলাকায় বনধ পালিত হচ্ছে। শুনসান এলাকা। দোকানপাটও বন্ধ। যান চলাচলও স্তব্ধ। এদিকে ধর্ষণ-কাণ্ডে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাই কোর্টে। মামলাটির দ্রুত শুনানির জন্য আর্জি জানানো হয়েছে। তবে হাঁসখালি-কাণ্ডে তৃণমূল নেতা সমরের ভাগ্নে দিবাকরকে আটক করেও পরে তাঁকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ৪ এপ্রিল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলের জন্মদিনের পার্টিতে গিয়েছিল ওই ছাত্রী। সেখানেই তাকে মদ খাইয়ে জোর করে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর সে রাস্তাতেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। এদিকে এক আত্মীয়ার সহায়তায় সে কোনওমতে বাড়ি ফেরে। কিন্তু রাতেই আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। ভোররাতে যৌনাঙ্গে যন্ত্রণা শুরু হয়। কোনওমতে এক হাতুড়েকে জানানো হয় গোটা বিষয়টি। কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় ওই কিশোরীর।
এরপরই ওই পরিবারকে চাপ দিয়ে স্থানীয় শ্মশানে দেহ দাহ করে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এমনকী জানাজানি করলে বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার, খুন করে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। কিশোরীর বাবার অভিযোগ, রাতে মুখ চেনা যায়নি। আমাকে ভয় দেখানো হয়েছে। আমার মেয়ে ওই বাড়িতেই গিয়েছিল। আমাকে বলেই গিয়েছিল। পরিবারের তরফে ওই পঞ্চায়েত সদস্য ও তার ছেলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছিল। ইতিমধ্যেই ওই কিশোরীর প্রেমিক তথা পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে ব্রজগোপাল গোয়ালাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার দুজন সঙ্গীকে আটক করা হয়েছে।
এদিন বিজেপি মহিলা মোর্চার প্রতিনিধিরা নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর থানায় যাবেন। মহিলাদের নিরাপত্তা ও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে পুলিশকে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা রয়েছে তাদের। এদিনই হাঁসখালি যাচ্ছে বামেদেরও মহিলা প্রতিনিধিদের একটি দল।