হাইবাতুল্লা আখুন্দজাদা যে কথায় কথায় লোকের গলা কাটতো তার হাতে এখন ইসলামিক আমিরাত অফ আফগানিস্তানের রাজ্যপাট; ওই মাদ্রাসার মৌলভীর আরো চার দাগি জঙ্গি দোসর যারা ছিল আমেরিকান আর্মির হিটলিস্টে তারাই সঙ্গ দেবে তাকে

ফিরে এলো মধ্যযুগ, আফগানিস্তান এখন ইসলামিক আমিরাত: ৫ কুখ্যাত জঙ্গি যারা ছিল ফিদায়ীন আক্রমণের মাস্টার মাইন্ড, নারী অধিকার লুন্ঠনকারী ও গণহত্যাকারী তারাই চালাবে সরকার।

হাইবাতুল্লা আখুন্দজাদা, আব্দুল গনি বরাদর, মোহম্মদ ইয়াকুব, সিরাজুদ্দীন হাক্কানি ও আব্দুল হাকিম — যারা মাসখানেকের সামান্য বেশি সময়ে ছিল আমেরিকান আর্মির হিটলিস্টে– তারাই এখন চালাবে ইসলামিক আমিরাত অফ আফগানিস্তানের সরকার।

আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি তাঁর পদ থেকে অপসারিত হওয়ার পর তালিবানরা কাবুলের নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণ রূপে নিয়ে নেয়। শুধু নিয়ন্ত্রণ নিয়েই ক্ষান্ত নন তালিবানরা, আফগানিস্তানে তালিবান-রাজ প্রতিষ্ঠা হওয়ার পরই দেশের নাম পর্যন্ত পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে। আফগানিস্তানের নতুন নামকরণ হয়েছে রাতারাতি।
মৌলভী হাইবাতুল্লা আখুন্দজাদা ওই দেশের আমির-আল-মোমিনীন অর্থাৎ সর্বেসর্বা ঘোষিত হয়েছে। এদের মধ্যে কেউ ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালিবানের সরকারের বিভিন্ন উচ্চ পদে আসীন ছিল কেউ বা আমেরিকার বিরুদ্ধে ২০ বছরের যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল ।
আরবি ভাষায় হাইবাতুল্লা শব্দের অর্থ হলো ‘খুদার তৌফা’ অর্থাৎ আল্লার দেয়া উপহার। সুতরাং নিজের নামের প্রতি সুবিচার করে আখুন্দজাদা কথায় কথায় লোকের গলা কাটতো, গলা কাটার হুকুম দিতো এবং শরীয়তের নিয়ম অনুযায়ী যারা চুরি করতো তাদের হাত ও পা কেটে দিতো।
আখুন্দজাদা ১৯৬১ সালের কাছাকাছি সময়ে কান্দাহারের কাছে পাঞ্জবই জেলায় জন্মায়। সে ছিল নূরবাই সম্প্রদায়ের এক ইমামের ছেলে।
১৯৯৬ সালে তালিবান কান্দাহার দখল করার পর তাকে ফারাহ প্রান্তের এক মাদ্রাসার মৌলভীর দায়িত্ব নিতে বলা হয়। এক লক্ষ ছাত্রের প্রশিক্ষণ দেয়া হতো ওই মাদ্রাসায় যেটি চালাতো কুখ্যাত জঙ্গি ও তালিবানের জন্মদাতা মোল্লা মোহাম্মদ ওমর। সে আবার আফগানিস্তানের শরীয়ত আদালতের প্রধান বিচারপতি ছিল। ২০১৬ সালে মোল্লা মনসুরের মৃত্যুর পর সে তালিবানের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেয়।

মোল্লা আব্দুল গনি বরাদর তালিবানের জনক মোল্লা মোহাম্মদ ওমরের সবচাইতে বিস্বস্ত সহযোগী ছিল। ২০০১ সালে আমেরিকার আফগানিস্তান  আক্রমণের সময় সে তালিবান সরকারের রক্ষামন্ত্রী ছিল। বরাদর বরাবরই আমেরিকার সাথে আলোচনার পক্ষপাতী ছিল।

মোল্লা মোহম্মদ ওমরের ছেলে মোল্লা মোহাম্মদ ইয়াকুব অনেকদিন পর আবার সামনে এলো। সে আবার মিলিটারি উইংয়ের কমান্ডার।

এই পাঁচ জনের অন্যতম হলো সিরাজুদ্দীন হাক্কানি যে হলো ফিদায়ীন আক্রমণের রূপকার ও তার বাবা জালালুদ্দিন হাক্কানির জঙ্গি নেটওয়ার্ক চালায়। আখুন্দজাদার প্রিয়ভাজন মোল্লা আব্দুল হাকিম পূর্ববর্তী তালিবান সরকারের প্রধান বিচারপতি ছিল।

In brief: Afghans face a return to the dark age. Thanks to the US blunder. Five most wanted terror masterminds, who were unsure about their fate just few months ago, will feature in the new government of Islamic Emirates of Afghanistan. Haibatullah Akhundzada, who was once groomed by Taliban founder Mullah Mohammad Omar, will be the head of the government.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.