গুরুগ্রামে বেশ কিছু জায়গায় শুক্রবারের নামাজ পড়ার অনুমতি প্রত্য়াহার করে নিল গুরুগ্রাম প্রশাসন।
২০১৮ সালে এলাকায় মোট ৩৭টি জায়গায় শুক্রবার নামাজ পড়ার অনুমতি দিয়েছিল প্রশাসন। তার মধ্যে ৮ জায়গা থেকে সেই অনুমতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হল। কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের আপত্তি।
ওই ৮ জায়গার মধ্য রয়েছে সেক্টর ৪৯ এর বাঙালি বস্তি, ডিএলএফ-৩ এর ব্লক ৫, সুরাট নগর ফেজ ১, খেরকি মাজরা গ্রাম, দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ের দৌলতাবাদ, সেক্টর ৬৮ এর রামপুর গ্রাম ও নাখরোলা রোড। প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, যে কোনও খোলা বা ঘেরা জায়গায় নামাজ পড়তে গেলে প্রশাসনের অনুমতি লাগবে। তবে যে কোনও মসজিদ, ইদগাহ ও ব্যক্তিগত জমিতে নামাজ পড়া যাবে। সরকারি জমিতে নয়। এলাকার মানুষজন এরকম বহু জায়গায় নামাজ পড়ার ব্যপারে আপত্তি করেছে। সেইসব জায়গাতেও নামাজ বন্ধ হয়ে যাবে।
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, গুরুগ্রামের ডিসির নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিই ঠিক করবে নামাজ পড়ার জন্য কোন কোন জায়গা চিহ্নিত করা হবে। এলাকার মানুষের যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার বিচার করে দেখবে ওই কমিটি। দেখা হবে, সর্বসাধারণের কোনও জায়গা, রাস্তায় যেন নামাজ পড়া না হয়।
গুরুগ্রামের এসিপি আমন যাদব বলেন, ‘সেক্টর ৪৭ এ শুক্রবার নামাজ পড়ার জন্য আপত্তি করেছে এলাকার মানুষজন। এর সমাধান কীভাবে করা যায় তার চেষ্টা বেশ কিছুদিন ধরেই করা হচ্ছে। এমনকি নামাজ পড়ার জন্য অন্য কোনও জায়গা ঠিক করারও চেষ্টা হচ্ছে।’