এখনও ভারতে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু
হয়নি । স্থানীয়ভাবে দেশের কোনও এলাকায় সংক্রমণের সংখ্যা বেশি হলেও সমগ্র দেশে গোষ্ঠী
সংক্রমণ শুরু হয়নি বলেই দাবি করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ হর্ষ বর্ধন (Dr. Harsh Vardhan)।

করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনার
জন্য বৃহস্পতিবার মন্ত্রীগোষ্ঠীর বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ হর্ষ বর্ধন
(Dr. Harsh Vardhan)।
তিনি দাবি করেন, ভারতে সামাজিক সংক্রমণ হয়নি। তাঁর কথায়, “আমি আজ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে
আলোচনায় বসেছিলাম। তাঁরা ফের জানিয়েছেন, ভারতে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়নি। কোনও কোনও
অঞ্চলে সংক্রমণের সংখ্যা বেশি। কিন্তু সামগ্রিকভাবে সারা দেশে সামাজিক সংক্রমণ হয়নি।” 

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথ্য
দিয়ে বলেন, ব্যাপারটাকে সঠিক প্রেক্ষিত থেকে দেখা উচিত। ভারত বিশ্বে দ্বিতীয় জনবহুল
দেশ। এখানে প্রতি ১০ লক্ষে ৫৩৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বিশ্বে প্রতি ১০ লক্ষে আক্রান্তের
গড় হার ১৪৫৩
। ভারতে যে করোনায় মৃত্যুহার ২.৭৮ শতাংশ, সেই ইতিবাচক তথ্যটি বারবার তুলে
ধরেন তিনি। এই মুহূর্তে প্রায় ১১০০ ল্যাবে দৈনিক আড়াই লক্ষ মানুষের টেস্ট হচ্ছে। এদিন
তিনি আরও দাবি করেছেন দেশের ৯০ শতাংশ করোনা সংক্রমণ হয়েছে দেশের ৮ রাজ্যে  । বাকি রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে
জানিয়েছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, গুজরাত, দিল্লি, তেলঙ্গানা,
কর্নাটক, উত্তর প্রদেশ এবং অন্ধ্র প্রদেশ এই রাজ্য গুলি থেকেই ৭৫ শতাংশ নতুন আক্রান্তে
আসছে। শুধু মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়েই করোনা সংক্রমণে ৫০০০ জন মারা গিয়েছেনআক্রান্তের
সংখ্যা ১ লক্ষ অতিক্রম করেছে

উল্লেখ্য, এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের
সকালের বুলেটিনে দেখা যায়, একদিনে কোভিড পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ২৪ হাজার ৮৭৯। করোনা অ্যাকটিভ
কেস অর্থাৎ শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে আইসোলেশনে থাকা রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে। আজকের
হিসেবে দেশে মোট আক্রান্তের হিসেব ৭ লাখ ৬৭ হাজার ২৯৬। একদিনে ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যু
হয়েছে ৪৮৭ জনের। দেশে এখন মোট কোভিড মৃত্যুর সংখ্যা ২১ হাজার ১২৯

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.