বিধানসভার সংবিধান দিবসে আমন্ত্রণ গ্রহণ রাজ্যপালের

বিধানসভার অধ্যক্ষ‌ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণে সাড়া দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। আগামী ২৬ এবং ২৭ নভেম্বর বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশনের মাধ্যমে পালিত হবে সংবিধান দিবস। সংঘাতের আবহেই সেই সংবিধান দিবস উপস্থিত থাকার জন্য অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের​ আমন্ত্রণপত্র গিয়েছিল রাজ্যপালের কাছে। বর্তমানে দিল্লিতে রয়েছেন রাজ্যপাল। রাতেই রাজভবনের তরফে​ বিবৃতি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী ২৬ নভেম্বর অধ্যক্ষের আমন্ত্রণে বিধানসভায় উপস্থিত থাকবেন রাজ্যপাল। ওই দিন বিকেল ৫টা বেজে ৪০ মিনিটে রাজ্যপাল বক্তব্য রাখবেন বিধানসভায়। পাশাপাশি, বিবৃতিতে রাজ্যপাল আরও জানিয়েছেন, ২২ নভেম্বর অর্থাৎ শুক্রবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফেও তাঁকে এই বিষয়ে অবগত করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এবং অধ্যক্ষ ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি উপস্থিত থাকবেন বলেই জানিয়েছেন রাজ্যপাল।

দায়িত্বে আসার পর থেকেই জগদীপ ধনখড়েরর সঙ্গে রাজ্য সংঘাত শুরু হয়েছে। কখনও খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), কখনও বা রাজ্য মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য রাজ্যপালকে আক্রমণ করেছেন। রাজ্যপালও ছাড়বার পাত্র নন। একাধিক ইস্যুতে সরকারের বিরুদ্ধে তোপ ডেগেছেন তিনি। তারপরও জল্পনা ছিল সংঘাতের আবহে সংবিধান দিবস রাজ্যপালকে কি আমন্ত্রণ জানাবে সরকার? যদিও বিধানসভা সূত্র জানিয়েছিল, রাজ্যপালের কাছে সাংবিধানিক নিয়ম মেনেই আমন্ত্রণ পৌঁছাবে। সেইমতো শুক্রবারে রাজ্যপালকে​ আমন্ত্রণ পাঠিয়েছে বিধানসভার সচিবালয়। এবং আমন্ত্রণ রক্ষা করে রাজ্যপালের জানিয়ে দিলেন বিধানসভার সংবিধান দিবসে তিনি উপস্থিত থাকবেন।

রাজ্য রাজ্যপাল সংঘাতে বারবার উঠেছে সাংবিধানিক অধিকার প্রসঙ্গ। রাজ্যপাল নিজের সীমা লঙ্ঘন করছেন বলে অভিযোগ এনে ক্ষুব্দ শাসকদল। অন্যদিকে, রাজ্যপালের দাবি তিনি যা করছেন সাংবিধানিক নিয়ম মেনে। সেই জায়গা থেকে ২৬ নভেম্বর বিধানসভায় রাজ্যপালের উপস্থিতি সংবিধান দিবস নিয়ে নানাবিধ আলোচনা হবে। রাজ্যপালকে সামনে বসেই তাহলে কী পরোক্ষে তাঁকে ‘সাংবিধানিক গন্ডিতে’ই তুলোধোনা করবেন শাসকদলের বিধায়করা, আশঙ্কা থাকছেই।

স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য- রাজ্যপাল বর্তমান যে সংঘাত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে সংবিধান দিবস প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষে বিধানসভার অধিবেশনের মধ্যেই আলোচনা উঠতে পারে। সেখানে রাজ্যপালকে সামনে বসেই পরোক্ষে তার সাংবিধানিক এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন শাসক পক্ষের বিধায়করা।

অন্যদিকে, রাজ্যপালও সেই সুযোগে বিধানসভার অধিবেশন এই শাসক পক্ষকে পাল্টা ‘সংবিধানের পাঠ’ দিতে তৈরি থাকবেন বলেও মত রাজনৈতিক মহলের। শেষমেষ আগামী ২৬ নভেম্বর রাজ্য বিধানসভায় কি হয় সেদিকে নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.