আগামী নভেম্বর মাসে পাঞ্জাব সহ সারা দেশের সমস্ত শিখ ধর্মালম্বীদের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে প্রথম শিখ গুরু তথা গুরুনানকের পাঁচশো পঞ্চাশ তম জন্ম বার্ষিকী। আর ওই দিনই পাঞ্জাবের বিভিন্ন জেলে বন্দি প্রায় সাড়ে পাঁচশো অপরাধীদের মুক্তি দিতে চলেছে পাঞ্জাব সরকার। শনিবার একটি সরকারি বৈঠকে বিবৃতি দিয়ে এই কথা জানান পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দ্রর সিং।
জানা গিয়েছে, প্রথম শিখ গুরু হিসাবে গুরুনানকের চিন্তাভাবনা এবং আদর্শে অনুপ্রানিত পাঞ্জাবের শিখ সম্প্রদায়ের মানুষেরা। আর এই বিশেষ দিনটিকে স্বরনীয় করে রাখতে শিখ ধর্মগুরু গুরুনানকের জন্মবার্ষিকীতেই পাঞ্জাবে বন্দি অপরাধীদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্বান্ত নিয়েছে পাঞ্জাব সরকার। শনিবার দিন একটি বিবৃতি দিয়ে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, গুরুনানকের পাঁচশো পঞ্চাশতম জন্মবার্ষিকীতে পাঞ্জাবে বন্দি প্রায় সাড়ে পাঁচশো অপরাধীদের ছেঁড়ে দেবার সিদ্বান্ত নিয়েছে তাঁদের সরকার। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, মানবিক দৃষ্টান্ত রাখতেই এই বিশেষ দিনটিকে বেছে নিয়েছে পাঞ্জাব সরকার।
সূত্রের খবর, এই বিষয়ে পাঞ্জাবকে সহযোগিতা করার জন্য একটি সরকারি বিবৃতিতে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দ্রর সিং কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন। অমিত শাহ এবং মোদী সরকারের সমর্থন ছাড়া এই কাজ করা কোনও ভাবেই সম্ভব হত না বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন অমরিন্দ্ররবাবু।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর তরফে একটি খোলা চিঠি পাঠানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। আর ওই চিঠিতে পাঞ্জাবের বিভিন্ন জেলে বন্দি অপরাধীদের যেন এতবছর পর সঠিক বিচার করে কেন্দ্রীয় সরকার যেন তাঁদের মুক্তির ব্যবস্থা করেন তাঁর আর্জি জানিয়েছিলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী। শুধু মোদীকে আর্জি জানানোয় নয় শিখ গুরুর জন্মদিনে নিজেদের মানবিক দিকটি তুলে ধরতে কেন্দ্রকে এই প্রস্তাব দিয়েছিল পাঞ্জাব সরকার।
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রস্তাবটিকে পরে গ্রহন করে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার এবং পাঞ্জাবে জরুরী অবস্থা চলাকালীন সময়ে পৃথক পৃথক ভাবে অপরাধ সংগঠিত করার কারনে পাঞ্জাব রাজ্যের বিভিন্ন জেলে বর্তমানে বন্দি রয়েছে আট জন অপরাধী। তাঁদেরকে এবার মুক্ত করার ব্যাপারে পাঞ্জাব সরকারকে সম্মতি প্রদান করল কেন্দ্রীয় সরকার।