ছোটো ছোটো পরিবর্তন কিভাবে একটা বড়ো পরিবর্তন আনতে পারে তার উদাহরণ পেশ করল ভারতের অর্থমন্ত্রক। বিগত দিনগুলোতে অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য কিছু পরিবর্তন নজর কেড়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক সোমবার ৯ ই আগস্ট ঘোষণা করেছে যে সরকার সরাসরি কর বিরোধ নিষ্পত্তি প্রকল্প ‘বিবাদ সে বিশ্বাস’ থেকে এখন পর্যন্ত ৫৩৬৮৪ কোটি টাকা পেয়েছে।
আসলে ডাইরেক্ট ট্যাক্সের একটা মোটা অংশ বিভিন্ন কারণে সরকারি কোষাগারে জমা পড়তো না। সেই সমস্যা মেটাতে ভারত সরকার ‘বিবাদ সে বিশ্বাস’ নামের প্রকল্প চালু করেছিল। যার ফল এখন হাতেনাতে মিলছে। লোকসভায় লিখিত উত্তরে অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী এই তথ্য তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন যে এই স্কিমের আওতায় এখনও পর্যন্ত ৯৯৭৬৫ কোটি টাকার কর জমা হয়েছে।
বিবাদ সে বিশ্বাস স্কিমের আওতায় দায়ের করা বর্তমান অবস্থা ঘোষণা করে তিনি আরও বলেছেন যে, এই করের জন্য ৫৩৬৮৪ কোটি টাকা প্রাপ্ত হয়েছে। ‘বিবাদ সে বিশ্বাস’ স্কিমের অধীনে সরকার কোনও লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেনি। এই প্রকল্পটি করদাতাদের সঙ্গে মুলতুবি থাকা প্রত্যক্ষ কর বিরোধ মীমাংসা করার জন্য একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রকল্প।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই স্কিম ঘোষণার শেষ তারিখ আগে ৩১ শে মার্চ ২০২১ নির্ধারণ করা হলেও, পরে বাড়িয়ে ৩১ শে আগস্ট পর্যন্ত করা হয়েছিল। পাশাপাশি করদাতাদের অতিরিক্ত পরিমাণ সুদসহ ৩১ শে অক্টোবর পর্যন্ত পেমেন্ট করারও সুযোগ ছিল।
বিশেষ তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারী ২০২০ পর্যন্ত মোট ৫.১ লক্ষ মুলতুবি করের মধ্যে, সরকার ১.৪৮ লক্ষ কর মুকুবের জন্য আবেদন পেয়েছে।এই প্রকল্পের আওতায় করদাতাদের দায়ের করা মোট ১.৩৩ লক্ষ আবেদনের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার সরকারি খাতের উদ্যোগে (পিএসইউ) ৩৫১০৯ কোটি টাকার বিতর্কিত করসহ ১৩৮৫ টি আবেদন ছিল, যার মধ্যে ২৭৭১৮ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
এদিকে, রাজ্য পিএসইউ বা বোর্ডের কাছে ৮৭০ টি আবেদন ছিল যার মধ্যে মোট বিতর্কিত কর ১,৬১৫ কোটি টাকা, এবং এর মধ্যে থেকে ১,০২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছিল।বাকি ১.৩ লাখ মামলা ছিল বেসরকারি খাতের জন্য। যার মধ্যে ৬৩,৭১৩ কোটি টাকা পর্যন্ত বিতর্কিত কর ছিল, এবং ২৫,২৬৭ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।