হিমাচল প্রদেশের মন্দির-শক্তিপীঠ, ধার্মিক সংস্থায় দান হিসেবে দেওয়া সোনা, রুপা এবং টাকা অহিন্দুদের উপর খরচ হবে না। পাশাপাশি মন্দিরের নিরাপত্তা এবং এবং অন্যন্য বিষয়ে কাজে করা কর্মীদের নিয়োগের ক্ষেত্রেও অহিন্দুদের দূরে রাখা হবে। ভাষা, শিল্প এবং সাংস্কৃতিক বিভাগ হিমাচল প্রদেশ হিন্দু সার্বজনীন ধার্মিক সংস্থা আর পূর্ণ বিন্যাস আইন-১৯৮৪ ধারার ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মন্দির কমিশনকে এই নির্দেশ দিয়েছে।
বিভাগের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব আরডি ধীমান এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। বলে দিই, রাজ্যে অনেক বড়বড় মন্দিরে কোটি কোটি টাকার দান দেওয়া হয় ভক্তদের তরফ থেকে। পাশাপাশি মন্দিরের ভাণ্ডারে সোনা আর রুপারও দান দেওয়া হয়। মন্দিরের জন্য দানের টাকা ব্যাংকে জমা রাখা হয়। অধিকাংশ মন্দিরের সোনা আর রুপা মন্দিরের ভাণ্ডারেই দীর্ঘদিন ধরেই মজুত রয়েছে। আর সেগুলি ব্যবহারও হচ্ছে না।
মন্দিরে দানের টাকা দিয়ে পুরোহিত এবং মন্দিরের কর্মীদের বেতন দেওয়া হয়। এছাড়াও মন্দিরের ওই দানের টাকায় রক্ষণাবেক্ষণ, মূর্তির সাজসজ্জা, মন্দিরের অধীনে থাকা স্কুল-কলেজ, রাস্তা নির্মাণের কাজে খরচ হয়। এছাড়াও বড়সড় একটি টাকা ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোসিট হিসেবে জমা থাকে। ওই টাকা উন্নয়ন এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কাজে ব্যবহৃত হয়।
রাজ্যের সাংস্কৃতিক বিভাগের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে মন্দির প্রশাসন এবং পুরোহিত ও অন্যান্য কর্মীরা। এখন থেকে হিমাচল প্রদেশের মন্দিরগুলিতে জমা দানের টাকা শুধুমাত্র হিন্দুদের স্বার্থেই খরচ করা হবে। পাশাপাশি মন্দিরের নিরাপত্তারক্ষী সহ বাকি কর্মীদের নিযুক্তি শুধু মাত্র হিন্দু ধর্মের মানুষদেরই করা হবে।