জম্মু-কাশ্মীরের উপর থেকে স্পেশ্যাল স্ট্যাটাস তুলে নেওয়ার পর জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, এ বার বিনিয়োগ হবে এই দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। বিনিয়োগকারীদের আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী। আর তারপরেই ঘোষণা করা হলো, ১২ থেকে ১৪ অক্টোবর, তিন দিন ব্যাপী বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলন হবে শ্রীনগরে।
বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি নবীন চৌধুরী মঙ্গলবার জানান, “এই প্রথম বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলন হবে জম্মু- কাশ্মীরে। ১২ অক্টোবর থেকে ১৪ অক্টোবর অবধি তা হবে শ্রীনগরে। এই বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনের মাধ্যমে কাশ্মীরে মানুষের জন্য এক নতুন দিক খুলে যাবে। এই সম্মেলনে উপত্যকায় শিল্প ও বাণিজ্যের যে সম্ভাবনা তা গোটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরার সুযোগ রয়েছে।”
৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করেছে কেন্দ্র। জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ। তাই এই মুহূর্তে সেখানে রাজ্যের কোনও অধিকার নেই। আর তাই এই বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলন করার দায়িত্ব কেন্দ্রের হাতে।
স্পেশ্যাল স্ট্যাটাসের মর্যাদা তুলে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যদা উঠে গিয়েছে। তার পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নব গঠিত দুই কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য শিল্প গোষ্ঠীগুলিকে আহ্বান জানিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণেও প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, চলচ্চিত্র, পর্যটন এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে বিনিয়োগ টানার ব্যাপারে সরকার বিশেষ নজর দেবে।
তারপরেই রিলায়েন্সের বার্ষিক সাধারণ সভায় দাঁড়িয়ে মুকেশ আম্বানি বলেন, জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করবে রিলায়েন্স গোষ্ঠী। দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিনিয়োগের বিষয়টি দেখার জন্য সংস্থার পক্ষ থেকে একটি স্পেশাল টাস্ক ফোর্স গঠন করা হবে। তারাই গোটা বিষয়টি দেখবে।
রিলায়ন্সের ঘোষণার পর পর্যবেক্ষকরা জানান, মুকেশ আম্বানির এই ঘোষণার পর এ বার অনেক সংস্থা ভূস্বর্গমুখী হবে। এ বার কেন্দ্রের এই বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনের কথা ঘোষণার পর ভূস্বর্গে বিনিয়োগের পথে কেন্দ্র আরও একধাপ এগিয়ে গেল বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।