নয়াদিল্লি: জম্মু ও কাশ্মীর পরিদর্শনে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। আগামী কয়েকদিনে আরও মন্ত্রী যাবেন ভূস্বর্গে। ঘুরে দেখবেন এলাকার পরিস্থিতি। কথা বলবেন স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গেও। জম্মু ও কাশ্মীরে কোন কোন ক্ষেত্রে উন্নয়ন প্রয়োজন এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখে বিস্তারিত রিপোর্ট সরকারকে দেবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। মন্ত্রীদের সফরের আগে প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট বার্তা। ‘কাশ্মীরে গিয়ে রাজনৈতিক কোনও বার্তা দেবেন না, বরং প্রকৃত তথ্য তুলে ধরুন, কোন কোন ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে উন্নয়ন জরুরি সরকারকে সে সম্পর্কে স্পষ্ট তথ্য দিন’, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের বার্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর।
সম্প্রতি আগামী পাঁচ বছরে কোন পথে এগোবে তাঁর সরকার সে দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রী এবং শীর্ষ আমলাদের সঙ্গে বৈঠক সারেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের ৫ মাস পর শনিবার উপত্যকা পরিদর্শনে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের একটি দল। যাত্রা শুরুর আগে শুক্রবারই তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৈঠক থেকেই মোদী তাঁর মন্ত্রীদের জনান, ভূস্বর্গে গিয়ে রাজনৈতিক বার্তা দেওয়া যাবে না। মন্ত্রীদের মনোনিবেশ করতে হবে জনসংযোগে। এমনকী এলাকা পরিদর্শনের পর গ্রামগুলিতেই মন্ত্রীদের রাতে থাকারও নির্দেশ দিয়েছেন মোদী।
জম্মু ও কাশ্মীর ছাড়াও আগামী ৫ বছরে সরকারের কাজ নিয়ে মন্ত্রী এবং শীর্ষ আমলাদের সঙ্গে বৈঠক সারেন প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সচিবদের সঙ্গে উন্নয়নের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এখনই কোন কোন কাজে হাত লাগানো জরুরি তা নিয়েও কথা বলেন সংশ্লিষ্ট দফতরের সচিবদের সঙ্গে। এরই পাশাপাশি আলাদা করে কথা হয় জম্মু ও কাশ্মীর নিয়েও। ৩৭০ ধারা বাতিলের পর ভূস্বর্গ ঢেলে সাজাতে উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারি উদ্যোগে তো বটেই এমনকী প্রয়োজনে ভিনরাজ্য থেকে বিনিয়োগ নিয়ে গিয়েও কাশ্মীরে কর্মসংস্থানের বিপুল সুযোগ তৈরি করতে চায় মোদী সরকার।
শনিবার জম্মু ও কাশ্মীর গিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং, অশ্বিনী চৌবে এবং অর্জুন মেঘওয়ালরা। আগামী কয়েক সপ্তাহে ভূস্বর্গে যাবেন আরও বেশ কয়েকজন মন্ত্রী।