তালিবান সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী, কাপড়ে (নিকাবে) মুখ ঢেকে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে হবে মেয়েদের।
বোরখা বাধ্যতামূলক না হলেও, ক্লাস শেষের পাঁচ মিনিট আগেই ক্লাস থেকে বেরতে হবে মেয়েদের। উদ্যেশ্য কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ছেলেদের সঙ্গে তারা যাতে মেলামেশা করতে না পারে। তাদের এধরনের ফতোয়া থেকেই এটা স্পষ্ট যে, তালিবান জমানায় ফের অন্ধকারে মুখ ঢাকছে মেয়েরা।
আবার এক উদ্ভট শর্ত রেখেছে তালিবান মেয়েদের পড়াবে মহিলারাই। তবে কোনো কোর্সের জন্য শিক্ষিকা না মিললে বন্ধ থাকবে না সেই কোর্সও। সেক্ষেত্রে মহিলাদের বদলে পড়াবেন সচ্চরিত্র বৃদ্ধরা।
‘তালিবান বদলে গিয়েছে,’ এই ট্যাগলাইনটি প্রমাণে এখন মরিয়া তারা। তাই মেয়েদের খেলাধুলোয় নিষেধাজ্ঞা চাপালেও উচ্চশিক্ষার অনুমতি দিয়েছে তারা। তবে কো-এডুকেশনের কোনও স্থান নেই তালিবান পরিচালিত দেশে। সে কথা স্পষ্ট করে দিয়েছে মোল্লা হাসান আখুন্দ ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। এমনকী, বিশ্ববিদ্যালয়েও একসঙ্গে পড়াশোনা করতে পারবে না ছেলে-মেয়েরা। আলাদা ঘরে তাঁদের পড়াশোনা করতে হবে কিংবা পর্দা টাঙিয়ে ক্লাস করতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী হয়েই শেখ মৌলবি নুরুল্লা মুনির জানিয়ে দিয়েছেন, ”আজকের দিনে পিএইচডি, মাস্টার ডিগ্রি মূল্যহীন। আপনারা জানেন মোল্লারা ও তালিবানই এখন ক্ষমতায়। তাদের কোনও পিইচডি কিংবা এমএ ডিগ্রি তো নেই-ই, এমনকী, হাইস্কুলের ডিগ্রিও নেই। তবুও তারাই সেরা।” এটা স্বাভাবিক যে তারা শিক্ষাকে কোনও গুরুত্ব দেবে না। এমন পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানের নতুন প্রজন্মকে চিন্তিত গোটা বিশ্ব।