রাজধানী দিল্লী থেকে আরো একবার ভয়ঙ্কর অপরাধিক ঘটনার খবর প্রকাশ পেয়েছে। এক কট্টরপন্থী সন্ধ্যে বেলা ১৯ বছরের হিন্দু যুবতীকে হত্যা করেছে। সন্ধ্যে বেলা ভরা বাজারের মধ্যে হিন্দু যুবতীকে চাকু দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিউ দিল্লীর ভগাল এলাকায় ১৯ বছরের হিন্দু যুবতীর হত্যা করা হয়েছে। যুবতীর নাম ছিল কীর্তি, যাকে ২৫ বছরের মহম্মদ মুনাজির লাভ জিহাদে ফাঁসাতে চেয়েছিল। কিন্তু কীর্তি মহম্মদ মুনাজিরের জালে ফাঁসতে চাইনি। সেই আক্রোশে ভগাল এলাকায় ভরা বাজারের মধ্যে কীর্তিকে চাকু দিয়ে কুপিয়ে মেরে ফেলে মহম্মদ মুনাজির।
মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচার হচ্ছে, অসহিষ্ণুতা বেড়ে যাচ্ছে ইত্যাদি অভিযোগ তুলে কিছুদিন আগেই ৪৯ জন বুদ্ধিজীবী প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন। আর তার ২ দিন পরেই শুক্রবারদিন রাজধানীর দিল্লীতে কীর্তি মাথুর নামের হিন্দু যুবতীকে হত্যা করলো কট্টরপন্থী মহম্মদ মুনাজির। কিন্তু এ বিষয়ে বুদ্ধিজীবী বর্গ নিশ্চুপ বলে অভিযোগ উঠেছে। দক্ষিণ দিল্লীর ভোগাল এলাকায় কীর্তি মাথুর তার পরিবারের সাথে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। পাশেই কট্টরপন্থী মহম্মদ মুনাজির ভাড়া বাড়িতে থাকতো। মুনাজির হিন্দু যুবতীকে লাভ জিহাদে ফাঁসানোর প্রয়াস করেছিল।
কীর্তি মাথুর বাড়ি থেকে বেরোলেই মুনাজির তার পেছনে বেড়াতো। কীর্তি মুনাজির দেওয়া প্রেম পস্তাবে রাজি হয়নি। তারপরেও মুনাজির কীর্তি মাথুরকে জ্বালাতন করার জন্য লেগে পড়েছিল। শেষমেষ কীর্তি বিষয়টির অভিযোগ তুলে মুনাজিরের বাড়ির মালিককে জানায়। সেই আক্রোশে মহম্মদ মুনাজির শুক্রবার দিন কীর্তিকে হত্যা করে। কীর্তির গলা, পেট, কোমরে বার বার চাকু দ্বারা আঘাত করে মুনাজির। রক্তাক্ত কীর্তি মাথুরকে হাসপাতালে ভর্তি করলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। পুলিশ মহম্মদ মুনাজিরকে গ্রেফতার করেছে বলে সূত্রের খবর।