চলে গেলেন ভারতীয় চলচ্চিত্র ও নাট্যমঞ্চের কিংবদন্তি অভিনেতা গিরিশ কারনাড। সোমবার সকাল সাড়ে ৬ টা নাগাদ ব্যাঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। মৃত্যুর শেষ দিন পর্যন্ত নিজের বিশ্বাসে অটল ছিলেন এই কিংবদন্তি মানুষটি। মোদী তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে লিখেছেন যা বিশ্বাস করতেন তার স্পষ্ট করে বলতেন।
অভিনয় ছাড়াও বহু জনপ্রিয় ছবির পরিচালক ছিলেন তিনি। কন্নড় ভাষার সাহিত্যিক হিসেবেও তিনি যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিলেন। ১৯৩৮ সালের ৯মে মুম্বাইতে জন্ম হয় এই বহুমুখী প্রতিভা সম্পন্ন শিল্পীর। ১৯৬১ সালে তার লেখা যযাতি নাটকের জন্য অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় রডেস স্কলার সম্মান জানানো হয় এই কিংবদন্তি লেখককে। তুঘলক, হাওয়ার তার অত্যন্ত জনপ্রিয় নাটকের মধ্যে অন্যতম। ১৯৭৪ সালে ভারত সরকার তাকে পদ্মশ্রী ও ১৯৯২ সালে পদ্মভূষণ সম্মান জানায়।
নাটকে অভিনয়ের পাশাপাশি চলচ্চিত্র অভিনেতা হিসেবে তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে দেশের আঙিনা ছাড়িয়ে বিশ্বে। ১৯৭০ সালের কন্নর ছবি সংস্কারে প্রথম অভিনয় করেন তিনি। আর এই ছবিতেই চিত্র নাট্যকার হিসেবে তার হাতেখড়ি।
তার প্রয়ানে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি সহ সাহিত্য সংস্কৃতি জগতের একাধিক বিশিষ্ট জনেরা শোকবার্তা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লেখেন, “গিরিশ তার কাজের মাধ্যমে আমাদের মধ্যে থেকে যাবেন। প্রবীণ অভিনেতা যে সমস্ত বিষয় নিয়ে ভাবতেন ও বিশ্বাস করতেন সে ষগুলি স্পষ্ট করে মন থেকে বলতেন। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি। “রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও এই প্রবীণ অভিনেতা জীবনাবসানে শোক জ্ঞাপন করেছেন।
সাহিত্যিক অমিতাভ ঘোষ টুইটারে লেখেন, “আজ সকালে আরও এক ইন্দ্রপতন হয়ে গেল”। কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সদানন্দ গৌড়াও এই কিংবদন্তি অভিনেতার মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপন করেন।