অতীতের তিক্ততার কথা মাথায় রাখতে চাইছে না ভারত। তাই তিন দিনের নেপাল সফরে ভারতের সেনাপ্রধান এম এম নারাভানে। সঙ্গে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী বীণা নারাভানে। বুধবার থেকে শুরু হয়েছে সেনাপ্রধানের নেপাল সফর। লক্ষ্য ভারত নেপাল সম্পর্ক সুদৃঢ় করা। কাঠমান্ডুতে দাঁড়িয়ে সেই বার্তাই দেবেন নারাভানে।
তিনদিনের সফরে কৌশলগত ও সামরিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা চলবে। উল্লেখ্য ভারতের সেনাপ্রধানকে আমন্ত্রণ জানান নেপালের সেনাপ্রধান জেনারেল পূর্ণ চন্দ্র থাপা। বুধবার সস্ত্রীক নারাভানে নেপালে পা রাখেন। বৃহস্পতিবার নেপাল সেনার তরফ থেকে বিশেষ সম্মান দেওয়া হবে নারাভানেকে। তাঁর হাতে এই সম্মান তুলে দেবেন নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারী।
এছাড়াও আর্মি প্যাভিলিয়নে নারাভানে শহিদদের স্মৃতির উদ্দ্যেশ্যে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করবেন। সম্মান গ্রহণের পর নেপালের সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করবেন ভারতের সেনাপ্রধান। চিনের সঙ্গে এখনও সীমান্ত বিবাদ না মিটলেও নেপালের সঙ্গে সম্পর্কের বরফ গলাতে তৎপর নরেন্দ্র মোদীর সরকার।
এর আগে কূটনৈতিকস্তরে একাধিক আলাপ-আলোচনা হয়েছে। চিন-ভারত সম্পর্ক এখনও তলানিতে। ভারতের বিরুদ্ধাচারণ করতে অনেক ক্ষেত্রেই নেপালকে ব্যবহার করছে চিন। গত কয়েকমাসে এমন বহু প্রমাণ পেয়েছে ভারত। দীর্ঘদিনের বন্ধু দেশ নেপালের সঙ্গে গত কয়েকমাসে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে ভারতের।
যদিও ভারতের তরফে এখনই নেপাল নিয়ে নেতিবাচক কোনও পদক্ষেপের সম্ভাবনা নেই। বরং কাঠমান্ডুর জন্য আবারও বন্ধুত্বের হাত বাড়াতে তৈরি দিল্লি। এই আবহেই সেনাপ্রধান নারাভানের নেপাল সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন কূটনীতিকরা।
বৃহস্পতিবার সেনাপ্রধান নারাভানে আর্মির প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জওয়ানদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখবেন। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। উল্লেখ্য নেপালের প্রধানমন্ত্রী ওলি নিজে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বও সামলান। মূলত প্রধানমন্ত্রী ওলির মদতেই ভারতের কালাপানি, লিপুলেখ, লিম্পিয়াধুরাকে নিজেদের মানচিত্রে এনে ওই এলাকা তাঁদের বলে দাবি করতে শুরু করে নেপাল।
যদিও নেপালের সেই দাবিতে আল দেয়নি ভারত। বরং আলোচনা করেই বিতর্ক মেটাতে তৎপরতা নিয়েছে মোদী সরকার। করোনাকালেই লাদাখের সীমান্ত এলাকা নিয়ে ভারত-চিন বিবাদ তুঙ্গে পৌঁছায়। তারই মধ্যে ভারতের অস্বস্তি বহু গুণে বাড়িয়ে দেয় নেপালের কেপি শর্মা ওলির সরকার।