কিছুদিন আগে বিজেপি রাজ্যসভার সংসদ সুব্রমনিয়াম স্বামী একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন যা আজকাল খুব চর্চার মধ্যে আছে। বিষয়টি হলো, সুব্রামানিয়াম স্বামী ভারতীয় কারেন্সির উপর দেবী লক্ষ্মীর ছবি ছাপানোর পরামর্শ দিয়েছেন। যখন তাকে ইন্দোনেশিয়ার মুদ্রায় গণেশের ছবি ছাপানোর বিষয় প্রশ্ন করা হয় বা জানতে চাওয়া হয়, তিনি তার উত্তরে বলেন যে ভারতীয় নোটে বা মুদ্রায় ধনের দেবী লক্ষীর ছবি ছাপালে ভারতীয় কারেন্সিতে উন্নতি হতে পারে বলে উনি মনে করেন। তাই এই বিষয় কারুর খারাপ লাগার কোনো দরকার নেই।
লক্ষণীয় বিষয় হল, ইন্দোনেশিয়া ও ভারতের সংস্কৃতি অনেক মিল রয়েছে। ইন্দোনেশিয়াও এমন একটি দেশ যেখানে বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যা রয়েছে এবং এখানে হিন্দু ধর্মের প্রভাব স্পষ্ট দেখা যায়। এখানে হিন্দু দেবদেবীদের পূজা করা হয়, বিশেষত ভগবান গণেশের কারণ, গণেশকে কলা ও বুদ্ধির ভগবান মনে করা হয়। এই কারণে এখানের কারেন্সিতে গণেশের ছবি ছাপানো হয়েছে।
জানিয়ে দি যে, কিছুকাল আগে ইন্দোনেশিয়ার অর্থনীতিতে অবনতি ঘটেছিল, এর পরে কিছু অর্থনীতিবিদ 20 হাজার টাকার নোটে ভগবান গণেশের ছবি ছাপানোর বিচার করে। পরে এটিকে ১৯৯৮ সালে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
এই দেশের সাধারণ জীবন থেকে শুরু করে কারেন্সি পর্যন্ত বৈচিত্র্য নজরে এসেই যায় । রামায়ণের মঞ্চায়ন এই দেশের সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। একটি মুসলিম দেশে রামায়ণ এবং মহাভারতের অস্তিত্ব আশ্চর্যজনক, তবে ইন্দোনেশিয়া তার হিন্দু ধর্মের সাথে সম্পর্কিত সাংস্কৃতিক পরিচয় নিয়ে খুব স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। এখনও ইন্দোনেশিয়ার জনগণ ভগবান শ্রী রামকে নিজেদের পূর্বপুরুষ মনে করে।