বারাকপুরের গান্ধী সংগ্রহশালা

কলকাতার খুব কাছেই অসাধারণ এই সংগ্রহশালা। পায়ে পায়ে পূর্ণ হল ৬০ বছর। বয়সে ভারতের স্বাধীনতালাভের চেয়ে বলা যেতে পারে প্রায় ১৫ বছরের কম। স্বাধীনতার ৭৫ বছরে অনেকটা চোখের আড়ালে এই সংগ্রহশালায় হচ্ছে নানা অনুষ্ঠান। 
কলকাতা থেকে মাইল চোদ্দ উত্তরে স্থাপিত হয়েছে পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরুর কথায় ‘বর্তমান পূর্ব ভারতের অন্যতম পবিত্র ক্ষেত্র’ ব্যারাকপুরের গান্ধীঘাট। গান্ধীঘাটের প্রায় আরও দু’মাইল উত্তরে ভাগীরথীর তীরে সবুজের সমারোহে ও মনোরম শান্ত পরিবেশে গড়ে উঠেছে আরও একটি বিশিষ্ঠ দর্শনীয় স্থান গান্ধী স্মারক সংগ্রহালয়, যা সম্পূর্ণ ভাবেই গান্ধীজির জীবনকে কেন্দ্র করে একটি জীবনীমূলক মিউজিয়াম।

১৯৪৮ সালের ৩০শে জানুয়ারী মহাত্মা গান্ধীর জীবনাবসানের পর  তাঁর স্মৃতিকে চিরস্থায়ী করবার জন্য গান্ধী স্মারক নিধি নামে গড়ে ওঠা একটি সংগঠন দেশের বিভিন্ন  প্রান্তে কয়েকটি স্মারক সংগ্রহালয় প্রতিষ্ঠা করবার পরিকল্পনা করেন ও সেই অনুযায়ী কলকাতার কাছে ব্যারাকপুরে পূর্বাঞ্চলের জন্য ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই সংগ্রহালয়। ১৯৬৬ সালের ৭ই মে এটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। প্ৰফুল্ল ঘোষ, প্রফুল্ল সেন, নির্মল কুমার বোস সহ বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছিল সংগ্রহালয়ের প্রথম পরিচালন সমিতি।

বর্তমানে সমগ্র ভারতবর্ষ জুড়ে ৭টি জাতীয় স্বীকৃতিপ্রাপ্ত গান্ধী মিউজিয়াম রয়েছে – ১. ন্যশানাল গান্ধী মিউজিয়াম, দিল্লী, ২. মনি ভবন, মুম্বাই, ৩. সবরমতি গান্ধী সংগ্রহালয়, আমেদাবাদ, ৪. মগন সংগ্রহালয়, ওয়ার্ধা, ৫. গান্ধী মিউজিয়াম, মাদুরাই, ৬. গান্ধী মিউজিয়াম, পাটনা এবং ৭. গান্ধী স্মারক সংগ্রহালয়, ব্যারাকপুর।

বাররাকপুরের গান্ধী মিউজিয়ামের প্রধান উদ্দেশ্য গান্ধী সম্পর্কিত যাবতীয় জিনিসপত্রের সংগ্রহ, সংরক্ষন ও প্রদর্শন এবং সংগ্রহশালা-পদ্ধতিতে তাঁর জীবন, কর্মধারা ও চিন্তার বিশ্লেষণ বিষয়ে গবেষণা ও নানান কর্মসূচির মাধ্যমে তা আরও বিকশিত করবার প্রচেষ্টা করা। 

মিউজিয়ামটিতে বর্তমানে ৫টি প্রদর্শন কক্ষ আছে, যেখানে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে মহাত্মা গান্ধীর জীবন, কর্ম ও চিন্তাধারা ও তাঁর সঙ্গে বাংলা ও বাঙালির সম্পর্ক দেখানো হয়েছে। গান্ধী জীবনের অতি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সমূহ কয়েকটি ডায়োরামার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার একটি প্রচেষ্টাও করা হয়েছে। ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের ঘটনা সহ গান্ধীজির জীবন ইতিহাস দৃশ্য-শ্রাব্য উপস্থাপনার মাধ্যমে প্রদর্শনের জন্য রয়েছে একটি অডিও-ভিজুয়্যাল রুম।

এখনকার বর্তমান কার্যক্রম প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য ত্রৈমাসিক দ্বিভাষিক একটি পত্রিকার প্রকাশনা, গান্ধীজির চিন্তা-ভাবনা ও তার বর্তমান প্রাসঙ্গিকতা বিষয়ে এবং স্বাধীনতা আন্দোলনের বিষয়ে বছরব্যাপী সমাজের সর্বস্তরের মানুষের জন্য নানান কর্মসূচী গ্রহণ, বাৎসরিক মহাত্মা গান্ধী স্মারক পুরস্কার প্রদান ও মহাত্মা গান্ধী স্মারক বক্তৃতার আয়োজন, স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জীবন ও অবদান এবং গান্ধীজি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু, প্রমুখ মহামানবের জীবন, দর্শন ও কার্যক্রম সমন্বয়ে এবং প্রকৃতি পরিবেশ পরিস্থিতি বিষয়ে স্কুল ও কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের জন্য সম্যক জ্ঞান ও তাদের উদ্বুদ্ধ করবার জন্য বছরব্যাপী নিবিড় কার্যক্রম, সমসাময়িক বিষয়ে বিভিন্ন জেলায় সচেতনতা শিবির, স্থানীয় ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আর্থিকভাবে দুর্বল মহিলাদের বিভিন্ন হাতের কাজের প্রশিক্ষনের মাধ্যমে স্বনির্ভর করে তোলবার কার্যক্রম, গবেষণা ও গবেষণায় সহায়তা, ইত্যাদি।

এছাড়াও সংগ্রহশালায় রয়েছে একটি ভ্রাম্যমান শাখা, যার মাধ্যমে গান্ধী সংগ্রহশালা পৌঁছে যায় বাংলার বিভিন্ন প্রান্তিক অঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। মূলত: প্রান্তিক অঞ্চলের ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আয়োজন করা হয় স্বাধীনতা কেন্দ্রিক নানান প্রদর্শনী, তথ্য চিত্র প্রদর্শনী এবং গান্ধীজির জীবন ও কর্ম নির্ভর দৃশ্য শ্রাব্য উপস্থাপনার মাধ্যমে স্পট ক্যুইজ।

বর্তমান সময় সমগ্র বিশ্ব যখন অতিমারির কারণে জর্জরিত, এই কঠিন সময়ে গান্ধী সংগ্রহশালা পরিকল্পনা করছে কিছু নতুন ভাবনার, এবং সেই ভাবনাকে বাস্তবায়িত করতে অতিমারীর প্রভাবের কথা মাথায় রেখেই  বিভিন্ন কর্মসূচি রূপায়ণে তাদেরকে হতে হচ্ছে প্রযুক্তি নির্ভর। তাই ভার্চুয়াল মাধ্যমের প্রয়োগেই তারা পরিচালনা করছে বিভিন্ন কর্মসূচী। 

বর্তমান সময়ের গুরুত্ব আপামর ভারতবাসীর কাছে অত্যন্ত গৌরবান্বিত, কারণ দেশের  স্বাধীনতা লাভের ৭৫ তম  বছরের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান পালিত হচ্ছে সমগ্র দেশ জুড়ে। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে যাতে ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে  স্বাধীনতার ইতিহাসের বার্তা পৌঁছে দিতে গান্ধী সংগ্রহশালা প্রতি সপ্তাহে একেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে ৩ দিনের ভার্চুয়াল প্রোগ্রামের আয়োজন করেছে। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঘরে বসেই ছাত্র ছাত্রীরা সাক্ষী হচ্ছে স্বাধীনতা বিষয়ক বিভিন্ন প্রদর্শনীর, তথ্য চিত্র, দৃশ্য শ্রাব্য উপস্থাপনা ও স্পট ক্যুইজ এবং স্বাধীনতা বিষয়ে তাদের মনের ভাবনাকে প্রকাশ করতে বসে আঁকো, পোস্টার তৈরির মতো প্রতিযোগিতা।

অতিমারিকে সঙ্গে করে জীবন নির্বাহের জন্য আত্মনির্ভরতাকে পাথেয় করবার জন্য আজ বিশেষভাবে প্রয়োজন গান্ধীজির গ্রাম-স্বরাজ ভাবনার পুন: প্রয়োগ, সেই ভাবনাগুলির বিষয়ে সচেতনতার জন্য গান্ধী সংগ্রহশালা বর্ষব্যাপি বিশেষজ্ঞদের দ্বারা বিভিন্ন ওয়েবিনার আয়োজনের মাধ্যমে বক্তৃতামালার পরিকল্পনা করেছে।

২০০৭ সালে সহকারী কিপার হিসেবে এই সংগ্রহশালার সঙ্গে যুক্ত হন প্রতীক ঘোষ। ২০১৫ সাল থেকে তাঁকে অধিকর্তা সম্পাদক হিসেবে এর পরিচালনার দায়িত্বভার দেওয়া হয়। উপরের তথ্য ও লেখা তাঁর জবানীতেই। তিনি জানান, গঙ্গার ধারে প্রায় ৯ বিঘা জমিতে এই সংগ্রহশালা।  ব্যবহৃত ভবন ছাড়াও রয়েছে বাগান সহ খোলা জায়গা ও সংগ্রহশালার কর্মীবৃন্দের আবাস। 
ব্যারাকপুরের রিভারসাইড রোডে সংগ্রহশালাটি অবস্থিত। ব্যারাকপুরের ক্যান্টনমেন্ট অঞ্চলের অন্তর্নিহিত। সংগ্রহশালার জন্য বরাদ্দ জায়গাটি ব্যারাকপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের থেকে লিজ নেওয়া। বৃটিশ আমলে তৈরি বর্তমান সংগ্রহশালা ভবনটির বহির্গঠন একইরকম রেখেই ভিতরে বিভিন্ন গ্যালারী তৈরি করা হয়।

প্রতীকবাবু জানান, সংগ্রহালয়ের বর্তমান সংগ্রহ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় গান্ধীজী ও ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন সম্বন্ধে বহু আলোকচিত্র (হাজারখানেক), গান্ধীজীর লেখা কিছু মূল চিঠি ও প্রায় আঠাশ হাজার চিঠির ফোটোকপি, তাঁর ব্যবহৃত কিছু, দ্রব্য যা তাঁর প্রকৃতি ও দৈনন্দিন আচরণের কথা মনে করিয়ে দেয়। বিভিন্ন ভাষায় তাঁর দুই হাতে লেখার নমুনা (গান্ধীজী মনে করতেন একজন জাতীয় নেতার অন্ততঃ মূল জাতীয় ভাষাগুলি জানা উচিত, এবং তিনি দু হাতে সমান লিখতে পারতেন।  রোজই তাঁকে বহু লিখতে হত ডান হাত ক্লান্ত হয়ে গেলে তিনি বাঁ হাতে লিখতেন), অদ্ভুত অদ্ভুত ঠিকানায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে তার নামে আসা কিছু চিঠির নমুনা দেওয়াল চিত্র, তৈলচিত্র প্রভৃতি।

সংগ্রহালয়ের অধিকর্তা জানান, “বিশেষ সংগ্রহের মধ্যে রয়েছে অধ্যাপক ধীরেন্দ্রনাথ ব্রহ্ম কৃত ৮১ ফুটের অধিক (রানিং) দেওয়াল চিত্র। এটির মাধ্যমে গান্ধী জীবন ও চিন্তাধারা এবং ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের বিভিন্ন অধ্যায়, প্রভৃতি দেখানো হয়েছে। বিভিন্ন জাতীয় নেতার কণ্ঠস্বরের রেকর্ড, স্বদেশী গানের বহু রেকর্ড, গান্ধীজীর সংস্পর্শে এসেছিলেন এরকম অনেক প্রখ্যাত ব্যক্তির গান্ধী সম্বন্ধে স্মৃতিকথা। স্মৃতিকথাগুলি খুবই চিত্তাকর্ষক ও শ্রুতিসুখকর। সেই সঙ্গে বর্তমানে সমসাময়িক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বলে মনে করা হচ্ছে।“

এছাড়াও আরও কিছু সংগ্রহ আছে যা দর্শকদের আনন্দ দিতে ও অনুপ্রাণিত করতে পারে। যেমন, গান্ধীজী, নেতাজী সুভাষচন্দ্র, পন্ডিত নেহেরু, সর্দার প্যাটেল, ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ, কস্তুরবা গান্ধী (মহাত্মা গান্ধীর স্ত্রী), প্রভৃতি নেতার হাতেকাটা সুতার নমুনা, ইত্যাদি।

সংগ্রহালয়ে বর্তমানে পাঁচটি (৫টি) প্রদর্শন কক্ষ আছে, যেখানে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সাহায্যে মহাত্মা গান্ধীর জীবন, কর্ম ও চিন্তাধারা ও তার সঙ্গে বাংলা ও বাঙ্গালির সম্পর্ক দেখানো হয়েছে। গান্ধী জীবনের অতি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সমূহ কয়েকটি ডায়োরামার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার একটি প্রচেষ্টাও করা হয়েছে। দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য অনুরোধে এগুলি বুঝিয়ে দেবার ব্যবস্থা আছে ও ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের ঘটনাসহ গান্ধীজীর জীবন ইতিহাস দৃশ্য-শ্রাব্য উপস্থাপনের মাধ্যমে প্রদর্শনের জন্য রয়েছে একটি অডিও-ভিস্যুয়াল সংগ্রহালয়ের একটি প্রধান অঙ্গ ও আকর্ষণ এর গ্রন্থাগারটি। 

কেবল গান্ধীজীর লেখা ও তাঁর সম্পর্কিত তথ্য সমৃদ্ধ পুস্তকাদির জন্যই নয়, রবীন্দ্রনাথ ও বাংলা সাহিত্য, ইতিহাস, দর্শন, ধর্ম, সমাজবিজ্ঞান, অর্থনীতি, রাজনীতি, পরিসংখ্যান, স্বাধীনতা আন্দোলন, জীবনীমূলক-পুস্তকাদি, নৃতত্ব, সাহিত্য ও শিল্প প্রভৃতি বহু বিষয়ের উপর এর সংগ্রহ খুবই উপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ, উচ্চগবেষণার পক্ষেও সমান উপযোগী। বর্তমানে পুস্তকের সংখ্যা প্রায় সাড়ে দশ হাজারের মত। এছাড়াও এখানে গান্ধী সম্পাদিত বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা, তাঁর লেখা ও তাঁকে লেখা প্রায় আঠাশ হাজার (২৮,০০০) চিঠির ফোটোকপি, বিভিন্ন ধরণের পত্রপত্রিকা সংরক্ষিত

এছাড়াও বর্তমানে সংগ্রহালয়ের গ্রন্থাগারটির আধুনিকিকরণের জন্য অত্যাধুনিক সফট্ওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে সংগৃহীত পুস্তকাদির একটি ডিজিটাল ক্যাটালগ প্রদ্ভুত করা হয়েছে এবং পুস্তকাদি সম্পর্কিত সমগ্র তথ্যাদি সংগ্রহালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইট (www.gandhimuseum.in)-এ আপামর জনসাধারণের অবগতির জন্য নিযুক্ত হয়েছে।

দ্বিভাষিক (বাংলা ও ইংরাজী) ত্রৈমাসিক পত্রিকা গান্ধী সংবাদ/ Gandhi News এই শিরোনামে ১৯৯৮ সাল থেকে গান্ধী মিউজিয়াম দ্বারা প্রকাশিত। পত্রিকাটিতে প্রকাশিত নিবন্ধগুলি বিভিন্ন স্বনামধনা লেখকের দ্বারা রচিত মহাত্মা গান্ধীর চিন্তা-ভাবনা ও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিষয় সম্পর্কিত। বর্তমানে মিউজিয়ামের নিজস্ব ওয়েবসাইটে এই পত্রিকার ই-ভার্সনও প্রকাশিত হচ্ছে। গান্ধীজী ও তাঁর চিন্তা-ভাবনা কার্যক্রম ও বর্তমান সময়ে তার প্রাসঙ্গিকতা বিষয়ে গান্ধী সংগ্রহশালা বছরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পুস্তকাদিও প্রকাশ করে। 

২০১৮-১৯ সালে আনুমানিক দর্শক এসেছিলেন প্রায় ৬২,০০০। সংগ্রহশালা দেখতে কোন টিকিট লাগে না। এই সংগ্রহশালা বুধবার বাদে সব দিন খোলা। সংগ্রহশালা খোলা থাকে ১১টা থেকে ৫টা পর্যন্ত।
তথ্য ও ছবি— প্রতীক ঘোষ

অশোক সেনগুপ্ত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.