মেরঠের সেনা ছাউনির সামনে থেকে গ্রেপ্তার আলতাফ নামের ব্যাক্তি! পাকিস্তানে প্রেরণ করতো ভারতের তথ্য।

দেশের সাথে বেইমানি করার এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে।  এক ব্যাক্তি সেনা ছাউনিতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করে পাকিস্তান সহ বিভিন্ন ইসলামিক দেশে প্রেরণ করতো বলে অভিযোগ সামনে এসেছে। মামলাটি উত্তর প্রদেশের মেরট এর, যেখানে সেনাবাহিনীর কিউআরটি দল একটি বড় পদক্ষেপ নিয়ে আলতাফ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে, যার লিঙ্ক সন্ত্রাসী দেশ পাকিস্তান থেকে পাওয়া গেছে। তার মোবাইল থেকে অনেক পাকিস্তানি নাম্বারও পাওয়া গেছে । সেনা গোয়েন্দা সংস্থা, কিউআরটি, পুলিশ এবং আরও কয়েকটি এজেন্সি লালকুর্তি থানায় ধরা পড়ে থাকা সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আলতাফ আনসারীর মোবাইল থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, কিউআরটি টিম সেনানিবাস এলাকার কেন্দ্রিয় বিদ্যালয় শিখ লাইনের নিকটবর্তী আলসুবার কাছে ৪ টে নাগাত লিসাদি গেট থানার সামার গার্ডেনের শাহাজাহান কলোনীতে বসবাসকারী আলতাফ আনসারী ছেলে আল্লাহ মাইহারকে আটক করে। বলা হয়েছিল আলতাফ ই রিকশা চালাচ্ছিল। কিউআরটি দল তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আলতাফ বলেছিল যে সে বাহন ছেড়ে আসছে। দলটি আরও তথ্য জানতে চাইলে দ্বিধায় পড়ে যায়। এর পরে, দলটি তার মোবাইলটি তদন্ত করেছিল এবং এতে সন্দেহজনক মোবাইল নম্বর পেয়েছিল, এতে অনেকগুলি পাকিস্তানের নাম্বার ছিল।

এটাও নজরে এসেছে যে কেবল পাকিস্তান নয় আলতাফের মোবাইলে ইরান, ইরাকের মতো অনেক ইসলামিক দেশের মোবাইল নম্বর আছে। আরও জানা গেছে যে, কিউআরটি হেফাজতে আসার আগে আলতাফ তার মোবাইল থেকে সেই সব নম্বর গুলি ডিলিট করে দিয়েছিল যাদের সাথে শেষ বার কথা বলেছিল। পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থা ও সাইবার সেল এর সেনানিবাস সংযোগ এবং মোবাইল সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করতে চেষ্টা চালাচ্ছে।

তদন্তে এখনও অবধি জানা গেছে যে আলতাফের মোবাইল ফোন একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ পরিচালনা করেছিল। এই গ্রুপে এমন অনেকগুলি নাম্বারের সন্ধানও পাওয়া গেছে যা পাকিস্তান, ইরান এবং ইরাক সহ অনেক দেশের অন্তর্ভুক্ত। সাইবার সেল এই গ্রুপের পুরো তথ্য খতিয়ে দেখছে। একই তদন্তে আরও জানা গিয়েছে যে এই দেশগুলিতে বেশিরভাগ হোয়াটসঅ্যাপ কল আলতাফ ব্যবহার করেছিলেন। পুলিশ জানায়, তিনি কী উদ্দেশ্যে ইন্টারনেট কলিং ব্যবহার করছিলেন তা চমকপ্রদ। একই সময়ে, গ্রেপ্তারের আগে বেশ কয়েকটি কল মুছে ফেলাও ঘটনাটিকে সন্দেহের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.