ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী থেকে প্রাক্তন গোয়েন্দা প্রধান এবং সেনাবাহিনীর জেনারেল, প্রত্যেকেরই এক মত, ব্রিটেন তথা ইউরোপ তথা বিশ্বের প্রধান শত্রু ইসলাম

একসময় ব্রিটেনকে মুসলিম শরণার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়ে এখন ঠেলা বুঝতে পারছে ওই দেশের প্রশাসকরা।

একটা সময় মুসলিম শরণার্থীর হয়ে উপযাজক হয়ে কথা বলতেন ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার (1997- 2007)। আজ সেই ব্লেয়ারই বলছেন এত মুসলিম শরণার্থী নেওয়া উচিত হয়নি ব্রিটেনের।
তাঁর মতে, “মুসলিম শরণার্থীরা ব্রিটেনে কয়েক প্রজন্ম ধরে থাকলেও তারা ওই দেশের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধকে হৃদয়ংগম করতে পারেনি। উল্টে তাদের গোঁড়ামি আরো বেড়েছে এবং তাঁরাই এখন ব্রিটেনের মুক্ত সমাজকে ইসলামী সমাজে পরিণত করার প্রচেষ্টা করছে।”

ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সাথে একমত ব্রিটিশ ইন্টেলিজেন্স এম আই সিক্স (British Intelligence , MI 6)এর প্রাক্তন প্রধান স্যার রিচার্ড ডিয়ারলাভ (1999- 2004)।
স্যার রিচার্ডের কথায়, “বেলাগাম মুসলিম অনুপ্রবেশ ব্রিটেনের অনেকগুলি ভুল সিদ্ধান্তের মধ্যে একটি।”
তাঁর মতে, ব্রিটেন এখন ইউরোপের আল-কায়েদা, ইসলামিক স্টেট , তালিবান সহ বিভিন্ন জিহাদি গোষ্ঠীর স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে।
স্যার রিচার্ডের মতে, এখনই মুসলিম শরণার্থী নেওয়া বন্ধ করতে হবে চিরতরে এবং এরই সাথে খুঁজে খুঁজে জিহাদি মুসলিমদের বার করে দেশ থেকে তাড়াতে হবে , নইলে ব্রিটেনকে বাঁচানো যাবেনা।

এদিকে আফগানিস্তানে ব্রিটেনের সেনার প্রাক্তন কমান্ডার কর্নেল রিচার্ড কেম্প (Commander, Col Richard Kemp) জানান, “খোদ ব্রিটেনেই মুসলিম শিরোণার্থীরা যারা প্রায় সবাই জিহাদি মানসিকতার প্রচুর নো-গো জোন তৈরী করে ফেলেছে , আর এটা অত্যন্ত বিপদজনক ব্যাপার।”

কর্নেল কেম্পের মতে, ব্রিটেনে যত অপরাধমূলক কাজ হয় তাদের সিংহভাগই করে মুসলিমরা।
তাঁর মতে, গভীর সংকটে ব্রিটেন আর এই সংকট থেকে বেরোতে ভোট ব্যাংকের রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে গিয়ে ব্রিটেনের সর্বাঙ্গীন উন্নতি নিয়ে ভাবতে হবে ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ ও জনগণকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.