তিনি বঙ্গবাসী কলেজের লেখাপড়া পরিত্যাগ করে মাদারীপুরে মাদারীপুর সমিতি নামে একটি বিপ্লবী দল গঠন করেন। ১৯১৪-১৫ সনে তিনি বাঘা যতীনের সঙ্গে কাজ করেন। বালেশ্বরের ট্রেঞ্চযুদ্ধে বাঘা যতীনের চারজন পার্শ্বচর তাঁরই দলের কর্মী ছিলেন। বাঘা যতীনের এই চারজন পার্শ্বচর ছিলেন চিত্তপ্রিয় রায়চৌধুরী, যতীশ পাল, মনোরঞ্জন দাশগুপ্ত এবং নীরেন দাশগুপ্ত। ১৯১৩ সালে ফরিদপুর ষড়যন্ত্র মামলায় পূর্ণচন্দ্র গ্রেপ্তার হন এবং কিছুদিন পর মুক্তি পান। কিন্তু ১৯১৪ সনে ভারত-রক্ষা আইনে ধৃত হয়ে ১৯২০ সাল পর্যন্ত জেলে আটক থাকেন। পরে তিনি নেতাজী সুভাষচন্দ্রের নবগঠিত ফরওয়ার্ড ব্লকের সঙ্গে যুক্ত হন এবং ১৯৪০ সালে পুনরায় গ্রেপ্তার হয়ে ১৯৪৬ সালে মুক্তি পান। দেশ বিভাগের পর দলীয় রাজনীতি ত্যাগ করেন এবং কলকাতায় উদ্বাস্তু পুনর্বাসন বোর্ডের সদস্য হয়ে বাস্তুহারাদের কল্যাণে তৎপর হন। বালিগঞ্জে এক আততায়ীর ছুরিকাঘাতে তাঁর মৃত্যু ঘটে। তিনি জেলে মোট ২৭ বছর আটক ছিলেন। ২ বছর পলাতক অবস্থায় ছিলেন। তিনি ৩৩ দিন অনশন ধর্মঘট করেছিলেন।
পূর্ণচন্দ্র দাসের জন্ম মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার সমাজ ইশিবপুরে। তাঁর বাবার নাম কাশীনাথ দাস। ১৯১০ সনে তিনি মাদারীপুর হাই স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করে কলকাতার বঙ্গবাসী কলেজে লেখাপড়া শুরু করেন।
…………………..
তথ্য – প্রতাপ সাহা