বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ পেল তথ্য জানার অধিকার আইন। তাদের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে ব্যাংক প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে ২৪৮০টি। এতে সরকারি ও সরকারি অনুদান প্রাপ্ত ব্যাংকগুলির ক্ষতি হয়েছে ৩২ কোটি টাকা। আরটিআই মোতাবেক এক প্রশ্নের উত্তরে জানা গিয়েছে ক্ষতি হওয়া অর্থের পরিমাণ ৩১৮৯৮.৬৩ কোটি। মোট ১৮টি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংক এই প্রতারণার তালিকায় রয়েছে।
দেশের সর্ববৃহৎ ব্যাংক স্টেট ব্যাংক অফ ইণ্ডিয়া এই তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে। মোট প্রতারণার ঘটনার ৩৮ শতাংশই এই ব্যাংকে ঘটেছে। এই আরটিআইয়ের তথ্যের সত্যতা স্বীকার করেছে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইণ্ডিয়াও। রবিবার সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া তথ্যে এই খবর জানা যায়।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, স্টেট ব্যাংক অফ ইণ্ডিয়ায় ১১৯৭টি প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে শেষ ত্রৈমাসিকে। যাতে ব্যাংকের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১২,০১২.৭৭ কোটি টাকা। এরপরেই রয়েছে এলাহাবাদ ব্যাংকের নাম। সেখানে রয়েছে ৩৮১টি প্রতারণার ঘটনা। যাতে জড়িয়ে রয়েছে ২৮৫৫.৪৬ কোটি টাকা। এরপর রয়েছে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক। ৯৯টি প্রতারণা মামলায় জড়িয়েছে ২,৫২৬.৫৫ কোটি টাকা।
তবে আরবিআইয়ের দেওয়া তথ্য অনুয়ায়ী এখনও জানা যায়নি যে ঠিক কী ধরণের ব্যাংক প্রতারণা হয়েছে। কত সংখ্যক গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন বা ব্যাংক এর প্রেক্ষিতে কী ধরণের পদক্ষেপ নেবে, তা এখনও জানা যায়নি। এই তিনটি ব্যাংক ছাড়াও তালিকায় রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি ব্যাংকের নাম। তবে আরবিআই জানাচ্ছে বাকি ব্যাংকগুলির ক্ষতিগ্রস্থ গ্রাহকের পরিমাণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য যোগাড়ের চেষ্টা চলছে।
আরটিআই করে যে তথ্য মিলেছে তা হল, তালিকায় রয়েছে ব্যাংক অফ বরোদার নাম। যেকানে প্রথম ত্রৈমাসিকে ৭৫টি প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। জড়িয়েছে ২২৯৭.০৫ কোটি টাকার অংক। রয়েছে ওরিয়েন্টাল ব্যাংক অফ কমার্সের নাম। সেখানে ৪৫টি প্রতারণা মামলায় জড়িয়েছে ২১৩৩.০৮ কোটি টাকার অংক। ৬৯টি প্রতারণা ঘটনা ঘটেছে কানাড়া ব্যাংকে, জড়িয়েছে ২০৩৫.৮১ কোটি টাকার অংক।
এছাড়াও জানা গিয়েছে, সেন্ট্রাল ব্যাংক অফ ইণ্ডিয়ায় ঘটেছে ১৯৪টি প্রতারণার ঘটনা, ক্ষতি হয়েছে ১৯৮২.২৭ কোটি টাকা।ছাড় পায়নি ইউনাইটেড ব্যাংক অফ ইণ্ডিয়াও। সেখানে ৩১টি প্রতারণার ঘটনায় জড়িয়েছে ১১৯৬.১৯ কোটি টাকার অংক। একই ভাবে রয়েছে কর্পোরেশন ব্যাংক, ইণ্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাংক, সিণ্ডিকেট ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক অফ ইণ্ডিয়া, ব্যাংক অফ ইণ্ডিয়া, ও ইউকো ব্যাংকের নাম।
এছাড়াও প্রতারণার তালিকায় রয়েছে ব্যাংক অফ মহারাষ্ট্র, অন্ধ্র ব্যাংক, ইণ্ডিয়ান ব্যাংক, পঞ্জাব অ্যাণ্ড সিন্ধ ব্যাংকের নাম।