করোনার দাপটে বিপর্যস্ত ভারত।এবার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল ফ্রান্স। দেশে অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে অক্সিজেন জেনারেটর সহ তরল অক্সিজেনের কন্টেনার পাঠাচ্ছে ফ্রান্স। চলতি সপ্তাহ শেষের দিকে আকাশ এবং সমুদ্র পথে ভারতে এসে পৌঁছবে ভারতে।
ফ্রান্স ভারতকে ৮টি অক্সিজেন জেনারেটর পাঠাবে। এই জেনারেটরগুলি ১০ বছরের জন্য একটি হাসপাতালকে স্বনির্ভর করে তোলে। এক একটি জেনারেটর ২৫০ বেডের একটি হাসপাতালের অক্সিজেনের চাহিদা মেটাতে সক্ষম। ৫ দিন চলবে এমন ২০০০ করোনা আক্রান্তের জন্যে লিকুইড অক্সিজেন। ২৮ টি ভেন্টিলেটর এবং আইসিইউ-এর বিভিন্ন মেডিক্যাল সরঞ্জাম পাঠাবে বলে জানা গিয়েছে।
ভারতে অবস্থিত ফরাসি সংস্থাগুলির সঙ্গে মিলে ‘সলিডারিটি মিশন’-এর অধীনে ফরাসি রাষ্ট্রপতি ইম্যানুয়েল ম্যাকরোঁ এই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এই উদ্যোগের অধীনে ভারতকে সাহায্য করছে ইউরোপীয় ইউনিনয়নও। ভারতে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত ইম্যানুয়েল লেনেইন এই বিষয়ে জানান, তাঁদের লক্ষ্য ভারতের আপতকালীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে সাহায্য করার পাশাপাশি দীর্ঘস্থায়ী ভাবে এদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে স্থিতিশীল করা।
এর আগে জার্মানি থেকে ২৩টি অক্সিজেন উত্পাদনকারী বিশেষ প্ল্যান্ট নিয়ে এসেছে ভারত।সাহায্যে হাত বাড়িয়েছে ব্রিটেনও। আজ, মঙ্গলবার ভোরেই ব্রিটেন থেকে ৯৫ অক্সিজেন কনসেনট্রেটর এবং ১০০ ভেন্টিলেটর পৌঁছেছে। আগামী কয়েক সপ্তাহে ৪৯৫টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, ১২০টি স্বয়ংক্রিয় ভেন্টিলেটর এবং ২০টি মানবচালিত ভেন্টিলেটর ব্রিটেন থেকে ধাপে ধাপে আসার কথা ভারতে। তার প্রথম চালান এসে পৌঁছেছে
উল্লেখ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নও ভারতকে চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং অক্সিজেন উৎপাদনকারী সরঞ্জাম পাঠিয়ে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে। সোমবার কানাডার বিদেশমন্ত্রী মার্ক গারনিউও একটি বিবৃতি জারি করে ভারতের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘ভারতে করোনা সংক্রমণের এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আমরা সবরকম সাহায্য করতে প্রস্তুত।’’ এ ব্যাপারে ভারত সরকারের কাছে কানাডা প্রশাসনের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলেও জানান গারনিউ।