চতুর্থ বার সেনা বৈঠকে বসছে ভারত ও চিন(Indo-china)। প্যাংগং লেক থেকে চিনা সেনা সরে যাওয়ার পর এই প্রথম বৈঠকে বসছে দুই দেশ। মঙ্গলবার অর্থাৎ ১৪ই জুলাই লাদাখের চুশুলে নিয়ন্ত্রণরেখায় বৈঠকে বসবেন কর্পস কমান্ডার স্তরের সেনা আধিকারিকরা।
ইতিমধ্যেই প্যাংগং লেক থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে চিনা সেনার তাঁবু। উপগ্রহ চিত্রেও সেই ছবি ধরা পড়েছে। চিনা সেনা সরে গিয়েছে ফিঙ্গার ফোর থেকেও, গত সপ্তাহেও এই এলাকাকে নিজের সীমান্ত অন্তর্ভুক্ত বলে দাবি করেছে চিন, যা কখনই মেনে নেয়নি ভারত।
৫ই জুলাই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল গোটা পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করেন। ফোনে কথা হয় চিনের বিদেশ মন্ত্রী ওয়াং ইয়ির সঙ্গে। তারপরেই সেনা সরাতে উদ্যত হয় বেজিং। সেনা অবস্থান সরানোর বা ডিসএনগেজমেন্টের প্রাথমিক পর্যায় হিসেবে চিনা সেনা সরে যায় ফিঙ্গার ফোর ও ফাইভ এলাকা থেকে। প্রায় দুই কিলোমিটার ভিতরে সরে যায় তারা। ৬ই জুলাই গালওয়ান ভ্যালির সংঘর্ষস্থলের থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার ভিতরে সরে যায় পিএলএ।
সোমবার জানা গিয়েছিল, চতুর্থ দফায় জেনারেল স্তরে বৈঠকে বসতে চলেছে দুই দেশের সেনাবাহিনী। আগামী দুদিনের মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। লাদাখ থেকে দুদেশের সেনা সম্পূর্ণ সরে যাওয়া নিয়ে কথা হতে পারে। মঙ্গলবার বা বুধবার বৈঠক হতে পারে বলে খবর মিলেছিল।
দুই দেশের সেনার চূড়ান্ত অবস্থান কী হতে চলেছে, তা নিয়েই আলোচনা হতে পারে বৈঠকে। মে মাসের ৫ তারিখ থেকে দুদেশের মধ্যে সীমান্ত সমস্যা চলছে। ১৫ই জুন তা চূড়ান্ত আকার নেয়। দুদেশের সেনার হাতাহাতিতে ভারতীয় ২০ জন জওয়ান শহিদ হন।
এর আগে, জুলাই মাসের শুরুর দিকে, প্যাংগং লেকের ফিঙ্গার ৪ এলাকার উপগ্রহ চিত্রে দেখা যায় সেখানে গড়ে উঠেছে অসংখ্য অস্থায়ী ক্যাম্প। রয়েছে সাজোঁয়া গাড়ি, ও সমরাস্ত্র। ভারতীয় সেনা বরাবরই ফিঙ্গার ১ থেকে ৮ পর্যন্ত টহল দেয়। কিন্তু এবার তা করতে গিয়ে বাধা পাচ্ছিল নয়াদিল্লি। চিন দাবি করে ফিঙ্গার ৮ থেকে ফিঙ্গার ৪ পর্যন্ত তাঁদের এলাকা।
দিন কয়েক আগেই দেখা যায় ক্রমশ সরছে চিনের সেনাবাহিনী। শুক্রবারের যে স্যাটেলাইট ইমেজ প্রকাশ্যে আসে, তাতে পরিস্কার দেখা যায় যে প্যাংগং লেকের ধারে ক্রমশ কমে আসছে চিনা সেনার উপস্থিতি। এর আগে গত ২৬ জুনের যে ছবি দেখা গিয়েছিল, সেখানে লেকের নীল জলের ধারে ছিল চিনা সৈন্যের ভিড়। এখন সেই অংশ অনেকটাই ফাঁকা।