এক বছরেই দু’বার। সেই একই নির্জন স্থান। অভিযুক্তরাও একই। ১৭ বছরের মেয়েটিকে গণধর্ষিতা হতে হল দু’বার। ঘটনা হরিয়ানার পালওয়াল জেলার। পুলিশ জানিয়েছে, চার অভিযুক্তের মধ্যে একজন নাবালক।
পালওয়াল পুলিশ সুপার নরেন্দ্র বিজার্নিয়া বলেছেন, চার অভিযুক্তের মধ্যে দু’জনের বয়স ত্রিশের কোঠায়, একজনের ৪৫ বছর এবং একজন নাবালক। তরুণীর কথায়, ওই চারজনই তাঁর গ্রামেরই লোক।
নির্যাতিতার অভিযোগ, বছরের প্রথম দিকে এই চারজনই তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছিল। থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ তাঁকে ফিরিয়ে দেয়। পরে তদন্ত শুরু হলেও সেটা গতি পায়নি। কিছুদিনের মধ্যেই ধামাচাপা পড়ে যায়। গ্রামেই অবাধে ঘুরতে থাকে অভিযুক্তেরা।
গত ৪ ডিসেম্বর ফের তরুণীকে তুলে নিয়ে যায় ওই চারজন। গ্রামের বাইরে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে তাঁর উপর নারকীয় নির্যাতন চালায়। তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তরুণী। মুখ বন্ধ না রাখলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, তরুণীর বয়ান শুনে ওই চারজনকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। অভিযুক্তরা গ্রামের বাইরে কোথাও গা ঢাকা দিয়েছে। হায়দরাবাদে তরুণী পশু চিকিৎসকের গণধর্ষণ ও মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে যখন তোলপাড় দেশ, সেই সময় হরিয়ানার এই তরুণীও ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছিলেন। থানায় গিয়েছিলেন মামলা দায়ের করতে। সেই রোষেই অভিযুক্তরা ফের তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।
হয়াদরাবাদে গণধর্ষণ ও নারকীয় হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত চার যুবকের এনকাউন্টার নিয়ে তোলপাড় হয়েছে দেশ। ধর্ষকদের কড়া শাস্তির দাবিতে কঠিন আইন আনার প্রয়োজনীয়তার কথা বলে সরব হয়েছেন অনেকেই। তার ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি। ফের বিহারে পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে এক অটোচালকের বিরুদ্ধে। কলকাতার গার্ডেনরিচ এলাকাতে ৬ বছরের একটি শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। উত্তরপ্রদেশ, তেলঙ্গানায় একের পর এক নারকীয় ঘটনা ঘটেছে গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই। আদালতে সাক্ষ্য দিতে যাওয়ার পথে উন্নাওয়ের গণধর্ষিতাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে পাঁচজন। গতকাল রাতে হাসপাতালেই থেমে গেছে উন্নাও নির্যাতিতার জীবনের লড়াই। প্রতিবাদ-বিক্ষোভ, গণরোষ, কড়া আইন আনার চেষ্টা সব কিছুর মধ্যেও এমন মর্মান্তিক ঘটনা থামার নাম নেই সেটা ফের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এই ঘটনা।