কয়েকদিন বাদেই পেশ হবে কেন্দ্রীয় বাজেট। তাই তার আগে একেবারে দেশের শিল্পতিদের সঙ্গে নিয়ে একদফা বৈঠক সারলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ সোমবারের ওই বৈঠকে ছিলেন, মুকেশ অম্বানী, রতন টাটা, সুনীল ভারতী মিত্তল, গৌতম আদানি, অনিল আগরওয়াল, আনন্দ মহীন্দ্রা সহ একেবারে প্রথম সারির শিল্পপতিরা৷
এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শিল্পপতিদের হতাশা কাটিয়ে সাহস করে লগ্নি এবং ব্যবসার সম্প্রসারণের আহ্বান জানিয়েছেন ৷ যদিও শিল্পমহল চাহিদার অভাবে প্রসঙ্গ তোলায়, মোদী তাদের আশ্বাস দিয়েছেন,সরকার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শিল্পের পাশে থাকবে। তিনি চান, দেশের প্রতিটি কোণায় ব্যবসা যেন ছড়িয়ে পড়তে পারে ৷ মনে করিয়ে দিয়েছেন, ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে ৷
যদিও সম্প্রতি এই সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, মোদী জমানায় শিল্পমহল আতঙ্কে কাটাচ্ছে কারণ আয়কর দফতর, সিবিআই, ইডি ইত্যাদিকে লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে। তার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত সংস্থার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়াকে বিরোধিরা কর্পোরেট জগতের উপর কেন্দ্রীয় হামলা বলে চালান হচ্ছে। মোদী আশ্বাস, সরকার চেষ্টা করতে তেমন পরিবেশ গড়তে যাতে শিল্পমহল নির্ভয়ে কাজ করতে পারে।
বর্তমানে দেশের আর্থিক বেহাল দশা কারণ দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধি ৪.৫ শতাংশে নামার পরে মঙ্গলবার চলতি অর্থবর্ষের জিডিপি নিয়ে প্রথম আগাম অনুমান প্রকাশিত হবে। যা নিয়ে একপ্রকার তটস্থ হয়ে রয়েছে অর্থ মন্ত্রক। তার ভিত্তিতেই রাজকোষ ঘাটতি, বাজেট বরাদ্দ তথা কোথায় কতখানি খরচ কাটছাঁট করতে হবে।
যদিও ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে, সম্প্রতি নানা পদক্ষেপও করেছে কেন্দ্র। যেমন- কমানো হয়েছে কর্পোরেট কর ৷ আবার পরিকাঠামোয় বড় মাপের লগ্নি, গাড়ি ও আবাসন শিল্পকে চাঙ্গা করতে নানা সুবিধা দেওয়া ও ব্যাংকের মাধ্যমে নতুন পুঁজি জোগানো ব্যবস্থা হয়েছে ৷ তাছাড়া ১০টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে মিশিয়ে ৪টিতে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি৷