পাকিস্তানের রেল মন্ত্রী শেখ রাশিদ জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়া এবং রাজ্য থেকে বিশেষ রাজ্যের তকমা ছিনিয়ে নেওয়ার পর থেকে একের পর এক পাগলামো করে শিরোনামে আসছেন। শুধু শিরোনামেই না, উনি গোটা দুনিয়ার হাসির পাত্র হয়ে উঠেছেন। প্রসঙ্গত, রেল মন্ত্রী শেখ রাশিদ এর আগে ভারতের সাথে যুদ্ধ করার কথা বলেছিলেন। এমনকি তিনি কবে যুদ্ধ হবে, সেই তারিখও বাতলে দিয়েছিলেন। এবার পাক রেল মন্ত্রী ভারতে পরমাণু হামলার হুমকি দিয়ে দিলেন।
কিন্তু পাক রেল মন্ত্রীর এই হুমকি মানুষ হুমকি না ভেবে, কৌতুক হিসেবে নিচ্ছেন। কারণ উনি বলছেন, ‘পাকিস্তানের কাছে ১২৫-২৫০ গ্রামের পরমাণু বোমা আছে, যার সাহায্যে একটা এলাকাকে খুব সহজেই নিশানা বানানো যায়।”
এর আগে পাক রেল মন্ত্রী বলেছিলেন যে, ভারত দুটি রাজনৈতিক ভুল করেছে। উনি প্রথম ভুল হিসেবে, ভারতের পরমাণু বোমার পরীক্ষণকে মনে করিয়ে দেন। আর উনি বলেন, যদি ভারত পরমাণু বোমার পরীক্ষণ না করত, তাহলে আজ পাকিস্তানও এমন কিছু করত না। এছাড়াও উনি দ্বিতীয় বুল হিসেবে বলেন, মোদী সরকার জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দিয়ে চরম ভুল করেছে। উনি বলেন, মোদী সরকার ভাবছে যে, কাশ্মীরিরা তাঁদের স্বাধীনতার লড়াই ছেড়ে দেবে। এবার কাশ্মীর ইস্যু গোটা বিশ্বে একটা উদাহরণ হিসেবে উঠে আসবে।
এর আগে পাক রেল মন্ত্রী অক্টোবর আর নভেম্বর মাসের মধ্যে ভারত আর পাকিস্তানের যুদ্ধের ভবিষ্যৎ বাণী করেছিলেন। আর এরপর ওনাকে নিয়ে চারিদিকে ব্যাপক পরিমাণে খিল্লি হয়। এবার তিনি বলেন, আমাদের কাছে পরমাণু বোমা ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। আমাদের কাছে স্মার্ট বোমা আছে, আমাদের লক্ষ্য স্থির হওয়া চাই। যদি কেউ পাকিস্তানের সীমার দিকে এগিয়ে আসে, তাহলে আমাদের কাছে স্মার্ট বোম আছে। এই বোম যেখানে হাতিয়ার দেখবে, সেখানেই নিশানা বানাবে।
এর আগে শুক্রবার, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার দেশের জনগণকে কাশ্মীর ইস্যুতে আধ ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে বলেছেন যাতে আন্তর্জাতিক মিডিয়া এটা নিয়ে হৈচৈ করেন। এদিকে, রেলমন্ত্রী শেখ রশিদ পাকিস্তান সরকারের এক সভায় বক্তব্য রাখছিলেন। যখন তিনি তার কথা বলছিলেন, তখন তিনি তার মাইক থেকে একটি বৈদ্যুতিক শক পান। মোদীর বিরুদ্ধে ভাষণ দিতে গিয়ে রীতিমতো আহত হন ইমরান খানের মন্ত্রী।