শনিবার লোকসভায় এ বছরের বাজেট নিয়ে আলোচনা করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এদিন সকাল ১০টায় শুরু হবে অধিবেশন। প্রসঙ্গত শনিবার বাজেট সেশনের প্রথম পর্যায়ের আলোচনা হবে।
শুক্রবার রাজ্যসভায় সীতারামন বাজেট নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। বিরোধীদের প্রবল প্রশ্ন ও অভিযোগের মুখে সেদিন পড়তে হয়েছিল তাঁকে। বিরুদ্ধে এদিন অভিযোগ ওঠে সরকার শুধু তার ঘনিষ্ঠদেরই সাহায্য করছে। কিন্তু কেন্দ্রের শাসক দল সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেয়। তাদের বক্তব্য ছিল সরকারের সমস্ত স্কিম দরিদ্রদের জন্য। তিনি পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষকে এদিন কয়েকটি স্কিমের কথা মনে করিয়ে দেন। জানান দেশের দরিদ্রদের জন্যই ওই যোজনাগুলি এনেছে সরকার। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, প্রধানমন্ত্রী সৌভাগ্য যোজনা। সীতারামন এদিন ২০২১-২২ সালের বাজেট প্রসঙ্গে বলেন আত্মনির্ভর ভারত তৈরির রাস্তা হয় এ বছরের বাজেট। দীর্ঘকালীন উন্নয়নের জন্য চেষ্টা করছে ভারত। এটি তার একটি ধাপ।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ ১ ফেব্রুয়ারি এ বছরের বাজেট পেশ করেন। গত বছরটা করোনা সংকটের মধ্য দিয়ে কাটাতে হয়েছে । সেই সংকট এখনও পুরোপুরি মেটেনি। দেশের আর্থিক বেহাল দশা। বৃদ্ধির বদলে সংকোচন দেখা গিয়েছে দেশে। এই অবস্থায় বাজেট পেশ করাাটা ছিল রীতিমতো চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। এই অবস্থায় দেশের পরিকাঠামো নির্মানের দিকে নজর দেওয়া হয়েছে বাজেটে।
এবারের বাজেট পেশের আগে বিভিন্নমহলের চর্চা শুরু হয়েছিল করোনা সেস বসানো হতে পারে। কারণ করোনা সংকটের জেরে সরকারের কোষাগারে বেহাল দশা হওয়ায় খরচ মেটাতে নানা ভাবে আয়ের উৎস খুঁজতে হচ্ছিল। সেক্ষেত্রে উচ্চ আয়ের লোকেদের উপর করোনা সেস বসতে পারে বলে শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু তা হয়নি। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন দাবি করেছেন, সরকারের কোনও রকম পরিকল্পনাই ছিল না করোনা সেস বসানোর। পাশাপাশি তার বক্তব্য, তাঁর জানা নেই কেন হঠাৎ করে এটা সংবাদমাধ্যমের চর্চার বিষয় হয়ে ওঠে । তবে অর্থের সংস্থান করতে ঢালাও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বেচে দিতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র।এ জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা নীতি ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। বাজেটের সময় এই নীতি ঘোষণা করা হয়। স্ট্র্যাটেজিক ক্ষেত্র ছাড়া সব রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে বেসরকারিকণের কথা ভেবেছে কেন্দ্র।