কামাখ্যা তীর্থক্ষেত্র একটি শক্তিপীঠ ও তন্ত্র সাধনার ক্ষেত্র। অসমের কামাখ্যা মন্দির গুয়াহাটি শহরের পশ্চিমাংশে নীলাচল পর্বতে অবস্থিত। এটি ৫১ সতীপীঠের অন্যতম। কালিকা পুরাণ-এর মতে, কামাখ্যা মন্দিরে সতী শিবের সঙ্গে বিহার করেন। এখানে তাঁর দেহের যোনি অংশটি বিষ্ণুর সুদর্শন চক্রে ছিন্ন হয়ে পড়েছিল।
গর্ভগৃহটি আসলে ভূগর্ভস্থ একটি গুহা। এখানে কোনো মূর্তি নেই। শুধু একটি পাথরের সরু গর্ত দেখা যায়। সেটিই ‘সতীর যোনি’ বলে মনে করা হয়।
‘কামাখ্যাতন্ত্র’ অন্যান্য তন্ত্রগ্রন্থের থেকে ব্যতিক্রমী তন্ত্রগ্রন্থ। তাই তন্ত্র সাধনার ক্ষেত্রেও এই শক্তিপীঠের রয়েছে ব্যতিক্রমী ভাবনা। অম্বুবাচীতে মন্দির বন্ধ থাকে, দেবী দর্শন হয় না। তাই এই সময়ে যে কোনও সম্প্রদায়ের দীক্ষিত ব্যক্তি মেনে চলুন ৫টি নিয়ম। অসাধারণ ফল মিলবে।
১. গুরুপ্রদত্ত নিজ ইষ্টমন্ত্র যত বেশি সম্ভব জপ করুন।
২. কামাখ্যাতে সৌভাগ্যকুণ্ডের ধারে গণেশ বিগ্রহ দর্শন ও পুজো করতে হয়। বাড়িতেও গণেশের পুজো করতে পারেন।
৩. সৌভাগ্যকুণ্ডের পশ্চিম পাড়ে বিধি পূর্বক স্নান-তর্পণ করতে হয়। কামাখ্যায় যেতে না পারলে গঙ্গা স্নানের পরে তর্পণ করতে পারেন।
৪. বিধিপূর্বক অগ্নিস্থাপন করে নিজ ইষ্ট দেবতার মন্ত্র হোম করুন।
৫. মধ্যরাতে কাঙ্ক্ষিত ফলের জন্য মনে মনে প্রার্থনা জানান দেবী কামাখ্যাকে।